চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী গ্রাম এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ড. এম সামছুল হক মডেল কলেজের ছাত্রাবাস (ভবন) জবর দখল করে রেখেছে কেয়ারটেকার রহিম রাজা।
সে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ও ছাত্রাবাসে বসবাস করছেন।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ কলেজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ একাধিকবার তাকে ওই ছাত্রাবাসের ভবন ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললেও কোন কর্ণপাত করছে না সে।
ছাত্রাবাসে গিয়ে জানা যায়, বহরী গ্রামের মৃত আ. কাদির মাস্টারের ছেলে বর্তমানে আমেরিকান প্রবাসী ড. এম সামছুল হক বিগত ২০০৩ সালে রবিউল্লাহ দিঘির পাড় নিজের নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর বিগত প্রায় ৫ বছর পর ২০০৮ সালে ওই কলেজের কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠাতার ভাতিজা অর্থাৎ একই বাড়ির মৃত রেহিম আলী রাজার ছেলে রহিম রাজাকে। তাকে থাকার জন্য কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ দেয়া হয়। কিন্তু কেয়ারটেকার রহিম রাজা ছাত্রাবাসের নাম অর্থাৎ সাফিয়া খাতুন হল মুছিয়ে দেয়ালে সুফিয়া ভিলা নাম লিখেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘কলেজের ছাত্রাবাসটি অবৈধ ও জোরপূর্বকভাবে কেয়ার টেকার রহিম রাজা দখল করে রাখায় ছাত্রদেরকে ছাত্রাবাসে স্থান দেওয়া যাচ্ছে না। এতে কলেজের লেখাপড়ার মান বিঘিœত হচ্ছে এবং দূর-দুরান্ত থেকে আসা ছাত্ররা অন্যত্র চলে যাচ্ছে।’
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. সোলায়মান প্রধান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘কেয়ার টেকারকে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা নিজেই একাধিকবার ফোন করে ছাত্রাবাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ করলেও সে কোনো কর্ণপাত করছে না।’
এ বিষয়ে কলেজের একাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘কেয়ার টেকার রহিম রাজাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন রাশেদুল হক, মাহাবুব রাজাসহ একটি মহল।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, কেয়ার টেকার ওই ভবনটিতে অসামাজিক কার্যকলাপসহ অপরাধ মূলক অনেক কর্মকান্ড ঘটায়। কলেজের শিক্ষার্থীদের বৃহৎ স্বার্থে কেয়ার টেকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ছাত্রবাসটি দখলমুক্ত করার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে কেয়ারটেকার রহিম রাজার সাথে যোগাযোগ করার উদ্দেশ্যে ওই ছাত্রাবাসে গেলে তিনি ছাত্রাবাসের দরজা বন্ধ করে রাখেন।
মতলব দক্ষিণ : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ এএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ