চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল ও সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন কর্মী আহত হয় এবং ৩৫ টিরও বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শনিবার ২ অক্টোবর সকাল পৌনে ১০ টার মতলব সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় যোগদানের জন্য সকাল আটটা থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় সাংসদ নুরুল আমিন রুহুল ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুগত নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা জড়ো হন।
শুক্রবার ১ অক্টোবর বিকেলে টোল প্লাজায় পথসভার জন্য একটি মঞ্চও তৈরি করেন সাংসদ রুহুলের পক্ষের লোকজন।
সকাল সাড়ে নয়টায় মঞ্চের পাশ দিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রতিমন্ত্রী ড শামসুল আলমসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জেলা শহরে যাওয়ার সময় সাংসদ রুহুলের অনুগত নেতা-কর্মীরা তাঁদেরকে অভিনন্দন জানান।
এসময় ওই মঞ্চে ওঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মাহাবুবউল আলম হানিফ। পরে সেখান থেকে জেলা শহরের উদ্দেশে রওনা দেন সাংসদ রুহুল। সেখানে মায়া ও সাংসদ রুহুলের লোকেরা মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মায়া পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৩০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় মঞ্চ। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে আহত হয়েছেন ১৫ জন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শরিফ মিয়া, আজমত উল্লাহ ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাইশপুর এলাকার মো. নাঈমকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে সাংসদ নুরুল আমিন রুহুলের পক্ষের উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি সিরাজ লস্কর বলেন,‘মায়া গ্রুপের লোকজন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।’
সাবেক মন্ত্রী মায়া পক্ষের উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী বলেন,‘প্রথমে এমপি গ্রুপের লোকজন আমাদের নেতা- কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে।’
খবর পেয়ে চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত ও মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। উভয় পক্ষের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২ অক্টোবর ২০২১
এজি