মতলব উত্তর

মতলবে করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্রগ্রাম ফেরত আরো একজনের মৃত্যু

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকার মিরপুর (মিরাকান্দি) গ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ নিয়ে চট্রগ্রাম ফেরত মোঃ শামসুল হক (৬২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুু হয়েছে। সে চট্রগ্রাম জুটমিল-এ চাকুরী। সে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের মিরপুর (মিরাকান্দি) গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্লার ছেলে। তিনি ১ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক।

১৩ জুন শনিবার ভোরে ৪টার দিকে গ্রামের নিজ বাড়িতেই মারা যান। মোঃ শামসুল হক (৬২) বৃহস্পতিবার চট্রগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে। মোঃ শামসুল হক (৬২) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.নুশরাত জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মোঃ শামসুল হক (৬২) চট্রগ্রাম জুটমিলে চাকুরী করেন। সেখানে প্রায় ৪-৫ দিন ধরে করোনার উপসর্গ (জ্বর,সর্দি,কাশি ও শ্বাসকষ্ট) দেখা দেয়। অসুস্থ অবস্থায় করোনার উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার তাদের গ্রামের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি তাদের গ্রামের বাড়ি আসে। শুক্রবার ফরাজীকান্দি করোনার উপসর্গ নিয়ে জামান নামে এক বালক মারা যাওয়ায় মৃতু বালকের সেম্পল সংগ্রহ করতে যাওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (এমটিইপিআই) ভাষান চন্দ্র কীর্ত্তনীয়ার সাথে যোগাযোগ করেন। আজ শনিবার সকাল ৯টায় তার নমুনা সংগ্রহের কথা ছিলো।

ইতিমধ্যে তার নমুনা সংগ্রহের ফরম পুরনসহসকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিলো। এরই মধ্যে ১৩ জুন শনিবার ভোরেই তার মৃত্যুর খবর আসে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নুশরাত জাহান মিথেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মোঃ শামসুল হক (৬২) এর নমুনা সংগ্রহের জন্য টিম পাঠানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব,রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে। নুমনার রির্পোাট আসার পর জানা যাবে সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিনা। তবে তার করোনা উপসর্গ ছিল বলে জানতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের আজ থেকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলায় একদিনে নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ৩ জনসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে এক বালক। আজ শনিবার ভোর রাতে মারা গেল আরো একজন। এ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ জনে। আর করোনা ভাইরাসে মারা গেছে ৩ জন।

এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও বর্তমানে এর প্রাদুর্ভাব বিস্তারে জনগণ আতঙ্কে আছে। করোনার রেড জোনের তালিকায়ও রয়েছে এ উপজেলাটি।

প্রতিবেদক:কামাল হোসেন খান,১৩ জুন ২০২০

Share