মতলব দক্ষিণ

মতলবে কবিরাজের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছে শত শত রোগী

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর জোড়পুল এলাকায় বারাকাত নামে এক প্রতারক কবিরাজের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছে শত শত রোগী। তার কাছে আসা রোগীদের তিনি ঝারপোক, তৈল পানি, কলাপড়া দিয়ে থাকেন। এ সমস্থ পড়া দিয়ে তিনি ভুত-পেত্নী, জিনের আছর, তাবিঝ-কবজ করা ও নিসন্তান দম্পত্তির চিকিৎসা করে থাকেন।

মাদ্রাসা লাইনে পড়া-লেখা করে পুঁজিবিহীন তার কাছে আসা রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল সম্পদের পাহাড়। এলাকায় কিনেছেন কয়েক একর সম্পত্তি। আলাদা বাড়িসহ ব্যাংক-ব্যালেন্স রয়েছে অনেক। তার কাছে আসা রোগীদের ঝারপোক ও কলাপড়া দিয়ে পাঁচশত টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন।

প্রতিদিন তিনি প্রায় দুইশতাধিক রোগী দেখে থাকেন। বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা সিএনজি ও মাইক্রোবাসযোগে চলে আসেন তার কাছে। রোগীরা উপকারের নামে কিছুই পান না।

হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখালের হাসেম নামের এক ব্যক্তি বলেন,স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি লোক জনের কথায়, চিকিৎসার নামে কোনো উপকার পাইনি। চিরায়ু গ্রামের মাহমুদা বলেন,খালার কথায় এখানে এসেছি, চিকিৎসার জন্য দিয়েছে দেড় হাজার টাকা। ওনার দেওয়ার তবদির ব্যবহার করে বলতে পারবো উপকার হয়েছে কি না।

কবিরাজের শ্যালক রাসেল বাড়ির আস্তানায় দিয়েছেন একটি দোকান। তার দোকানে তৈল,কলা,কাইতন ও পানি পাওয়া যায়। রোগীদের কাছে বাধ্যগতভাবে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে থাকেন তিনি। ষোল টাকা হালির কলা ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি করেন।

এলাকার লোকজন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, শালা ও ভগ্নিপতীর ব্যাবসা ভালোই চলছে। তারা আরও বলেন শালা-ভগ্নিপতী মিলে কয়েকদিন পূর্বে ওই এলাকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া এক অবৈধ সন্তানকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এক নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

এসব বিষয়ে কবিরাজকে জিজ্ঞেসাবাদ করলে, কবিরাজ ও তার শ্যালক উত্তেজিত হয়ে বলেন, যা পারেন লিখে দেন আমাদের ও অনেক পরিচিত সাংবাদিক আছে।

করেসপন্ডেট
১০ ফেব্রুয়ারি,২০১৯

Share