মতলব দক্ষিণ

মতলবে একরাতে দুটিসহ তিনদিনে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ

বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শাহিদুল ইসলামের জিরো টলারেন্সের ভূমিকা নিয়েছেন। এক রাতে দুটিসহ তিনদিনে চারটি ব্যালবিবাহ বন্ধ করেছেন তিনি।

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় যোগদানের পর বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গতি পেয়েছে। বাল্যবিবাহের তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই সকল প্রভাব উপক্ষো করে তা প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকার নতুন আইনও করেছেন। সচেতনতা বাড়াতে নানামুখী প্রচারণাও চালাচ্ছে। তাই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স হিসেবে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে তাঁতে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভার মেয়র ও জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে গত তিন দিনে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চারটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। পৌরসভা এলাকায় একটি এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে তিনটি। তন্মধ্যে একরাতে একই বাড়িতে দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত ৬ মার্চ রাত ১২টায় উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নে নারায়ণপুর গ্রামের বণিক বাড়িতে লামচরী গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) সাথে উত্তম বণিকের (২৫) সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। ওই বাড়িতে একই সময়ে উত্তম বণিকের ভাতিজি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৪) সঙ্গে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর এলাকার এক ছেলের (৩৫) বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।

ইউএনও মো. শাহিদুল ইসলাম সংবাদ পেয়ে ইউপি সদস্য মো. শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে ওই বাল্যবিয়ে দুটি বন্ধের নির্দেশ দিলে তিনি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ দুটি বন্ধ করে দেন।

গত ৫ মার্চ মতলব পৌরসভার মোবারকিদি গ্রামে একাদশ শ্রেণির কলেজছাত্রীর (১৭) বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম ও পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়।

উপজেলা প্রমাসনের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কলেজছাত্রীর অভিভাবকদের কাছ থেকে বাল্য বিয়ে না দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার নেন। এদিকে গত ২ মার্চ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীর (১৫) বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জাহিরুল মোস্তফা তালুকদার ছাত্রীটির বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন।

ইউএনও মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। এ ধরনের মেয়েদের ভবিষ্যত ও লেখাপড়া নষ্ট হয়। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, মতলবকে শতভাগ বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:০৫ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৮, বুধবার
ডিএইচ

Share