চাঁদপুরের মতলব উপজেলার প্রধান সড়কের কলেজ গেইট থেকে রিক্সা স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দে ভরা সড়কে প্রায় ৫ লাখ মানুষের চলাচল। যাতায়াতকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই প্রথম শ্রেণীর মতলব পৌরসভার প্রধান এ সড়কে।
এ রুটে ঢাকার সাথে সড়কপথে যাতায়াতে দুরত্ব কম হওয়ায় মতলবের দু’উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ ছাড়াও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার অসংখ্য মানুষ এ সড়কটি দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন। সর্বশেষ সড়কটি সংস্কার হয় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। ছয় মাস না যেতেই ভেঙ্গে যায় অধিকাংশ কার্পেটিং। সৃষ্টি হয় দুইশতাধিক ছোট বড় গর্তের। তবুও ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরসভাসহ সকল যাতায়াতকারীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কলেজ গেইট, ম্যাক্সিস্ট্যান্ড, উপজেলা পরিষদ, মতলব সেন্ট্রাল হাসপাতাল, মতলব শপিং কমপ্লেক্স এর সামনের অধিকাংশ কার্পেটিং, ইট, বালু ও খোয়া উঠে গেছে। অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। সে গর্তে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দের। যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় গর্তে জমে থাকা পানি সরতে পারছে না। দেবে গেছে সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান। সেখানে যানচলাচল ও পথচলা বিপজ্জনক।
পথচারী মোঃ ইয়াছিন বলেন, সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ-ঢালাই উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গাড়িচালকরাও এ সড়কে যেতে চান না। গেলেও তিনগুন ভাড়া নেন। রয়মনেন নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রী মুন্নী বলেন, সড়কের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় গর্তের ময়লা পানি ছিটকে পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া গর্তের কারনে প্রায় ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটেছে। অটোবাইক চালক কালু মিয়া বলেন এনো গাড়ি লইয়া গেলে চাক্কা নষ্ট হয়, দূর্ঘটনার ভয়ে থাহি, যাত্রীদের গালাগাল হুনতে অয় এবং জীবনডারে আতে লইয়া গাড়ি চালাই।
মতলব পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ’৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি পাকা হয়। পৌরসভার সদর (৩নং) ওয়ার্ডে অবস্থিত সড়কটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যায়ে সর্বশেষ সংস্কার হয় ২০১৬ সালে।
পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার পর কাজ করা হবে।
প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক