Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলবের ছেংগারচরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন জর্জ
মতলবের ছেংগারচরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন জর্জ

মতলবের ছেংগারচরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন জর্জ

অবশেষে অনেক আলোচনা-সমালোচনা শেষে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় বিনা ভোটেই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রফিকুর আলম জর্জ। হাইকোর্টের দেয়া বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতার রায় মঙ্গলবার আপিল বিভাগে ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

তবে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে বাতিল না করে ৬ মাসের জন্য স্থগিত করায় স্থানীয়ভাবে ভোটার ও প্রশাসনের মাঝে মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপি প্রার্থীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের রায় ৬ মাস স্থগিতাদেশ দেয়ায় বিএনপি প্রার্থী সারোয়ারুল আবেদিন প্রার্থিতা নেই, সেহেতু তিনি র্নিবাচনে অংশ নিতে পারছেন। তবে তারা এ বিষয়ে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় প্রশিক্ষণ, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সভাসহ নির্বাচনী নানা কর্মসূচিতে ছিলেন। এতে ও পৌরসভা প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলেই ব্যস্ত ছিলেন।

যখন ঢাকা থেকে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশের সংবাদ পৌর এলাকায় আসে, তখনি বিএনপির মেয়র প্রার্থী সারোয়ারুল আবেদিন ঢাকার পথে রওয়ানা হয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী সারোয়ারুল আবেদীন খোকনের মনোনয়নপত্র ৫ ডিসেম্বর বাছাইতে বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। পরে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডলের কাছে তিনি আপিল করলে ১০ ডিসেম্বর সেটি খারিজ করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আপিল বিভাগের রায়ের সংবাদ শুনেছি, তবে এখনো রায়ের কপি পাইনি, তাই মেয়র পদে নির্বাচন হবে কি হবে না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। রায়ের কপি পেলেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।’

১৩ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামানের যৌথ বেঞ্চে সারোয়ারুল আবেদিনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই এ আদেশ দেয়া হয়।

এই আদেশের বিরুদ্ধে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. রফিকুল আলম জর্জ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের দেয়া রায়কে ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এতে করে সরকার দলের এই প্রার্থীর বিনা ভোটে বিজয়ী হওয়ার পথ সুগম হয়।

দেলোয়ার হোসাইন

 

।। আপডেট : ০৭:২০ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

ডিএইচ/এমআরআর