ভারতের মণিপুর অশান্ত

গত কয়েক দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর। জিরিবাম,পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুরসহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য জুড়ে ছয়টি থানা এলাকায় নতুন করে চালু করা হল ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)।

বৃহস্পতিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই ও লামসাং, পূর্ব ইম্ফলের লামলাই, বিষ্ণুপুরের মইরাং, কাংপোকপির লেইমাখং এবং জিরিবাম থানা এলাকায় নতুন করে আফস্পা চালু করা হয়েছে। উল্লেখ্য,গত মাসের শুরুতেই মণিপুরে ছয় মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পা-র মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম-সহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই এ আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার আরও ছয়টি থানায় বলবৎ হল সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। ওই ছয়টি এলাকাকে ‘অশান্ত অঞ্চল’বলে অভিহিত করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,ছয়টি থানা এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এ পদক্ষেপ।

৭ নভেম্বর গভীর রাতে জিরিবাম জেলার জাইরন গ্রামে হামলা চালায় এক দল বিদ্রোহী। গ্রামের অন্তত: ১৭ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য,গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও আধাসেনার যৌথ দল।

১৯৮০ সাল থেকেই আফস্পা-র আওতায় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ‘অশান্ত অঞ্চল’বলে অভিহিত করা হয়ে এসেছে। ২০০৪ সালে থাংজাম মনোরমার ধর্ষণ ও হত্যার পর ব্যাপক প্রতিবাদের জেরে ইম্ফলের কয়েকটি জায়গায় আফস্পা আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
১৫ নভেম্বর ২০২৪
এজি

Share