মটরসাইকেল চুরির হিড়িক : টাকা লেনদেন করে ফেরত

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় মটরসাইকেল চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২টিসহ কয়েকদিনের ব্যবধানে অন্তত ৫টি মটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এরই মধ্যে চুরি হওয়া ৫টি মটরসাইকেলের মধ্যে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে চোরের সাথে লেনদেন করে ৪টি মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন জেনেও নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর মধ্যে মটরসাইকেল চুরি আতংক বিরাজ করছে।

সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান নামে একব্যক্তির ২০ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হরিপুর নতুন বাজার থেকে ১০০সিসি একটি হিরো-হোন্ডা, ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাশির মিলার নামে একব্যক্তির চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন দামোল গ্রামে বাড়ির গেট থেকে একটি ১০০সিসি ডিসকভার, ১৩ এপ্রিল বৃহস্প্রতিবার রাত ৮টায় বটতলী নামকস্থান থেকে রবি নামে একব্যক্তির ১০০সিসি একটি হিরো-হোন্ডা, ৯ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টায় হরিপুর নতুন বাজার থেকে বকর আলীর ডিসকভার ও গত কিছুদিন পূর্বে চানু মিয়া নামে একব্যক্তিরও একটি ডিসকভার মটরসাইকেল চুরি হয়েছে।

চুরি হওয়া ৫টি মটরসাইকেলের মধ্যে বাশির মিলারের ১০০সিসি ডিসকভার মটরসাইকেলটি বাদে, ৪টিই মটরসাইকেলই মোটা অংকের অর্থ বিনিময় করে চোরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে  জানা গেছে।

ভূক্তভুগীরা জানিয়েছে, চুরি হওয়া মটরসাইকেলগুলো ফেরত পেতে প্রতিটি মটরসাইকেল মালিককে চোরকে দিতে হয়েছে ৬০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। প্রতিটি গাড়ির দেলদেনের টাকা আবার রাণীশংকৈল থানার গেটের প¦ার্শেই লেনদেন হয়েছে।

টাকা লেনদেনের পর মালিকদের বলে দেওয়া হয় অমুক স্থানে আপনার মটরসাইকেটি রয়েছে যেয়ে নিয়ে আসেন। তবে এবিষয়ে কাউকে বলবেন না। আর যদি বেশি বাড়া-বাড়ি করেন তাহলে এর ফল ভালো হলে না। এতে প্রাণের ভয়ে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে  পারছে না। তবে এসব ঘটনার জন্য এলাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতাকেই দায়ি করছে।

এবিষয়ে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান প্রধান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমি লোকমুখে শুনেছি হারিয়ে যাওয়া মটরসাইকেলগুলো নাকি অর্থের বিনিময়ে ফেরত আনা হচ্ছে। তবে এবিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ঐসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

]কবিরুল ইসলাম কবির, ঠাকুরগাঁও করেসপন্ডেন্ট [/author]

: আপডেট ৯:১৭  পিএম, ২১ এপ্রিল  ২০১৬, বৃহস্পতিবার

ডিএইচ

Share