মঙ্গলবার সাগরে সৃষ্টি হতে পারে লঘুচাপ

২৮ নভেম্বর মঙ্গলবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটি চলতি নভেম্বরের শেষভাগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে আবহাওয়াবিদদের। তারা বলছেন, নভেম্বরে কুয়াশার যে আধিক্য তা আগে এমনভাবে দেখা যায়নি। এছাড়া মেসন-জুলিয়ান নামক আবহাওয়া সম্পর্কিত একটি প্রক্রিয়া বর্তমানে দক্ষিণ আরব সাগরের ওপর অবস্থান করছে। একই সময়ে ভারত মহাসাগরে চলছে দ্বিমেরু ও ধনাত্মক দশা। এসব প্রক্রিয়া লঘুচাপকে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ দেওয়া বা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।

এর আগে আবহাওয়াবিদরা বঙ্গোপসাগরে ‘মিগজাউম’ নামে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে এটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তখন এটির নাম হবে মিচাহং। উচ্চারণ করতে হবে ‘মিগজাউম’। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এটি ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের উপকূলে।

শনিবার ভারতের মৌসুম ভবন জানিয়েছে, একটি অক্ষরেখা রয়েছে আরব সাগর থেকে গুজরাট, মহারাষ্ট্র হয়ে গোয়া পর্যন্ত। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে মালদ্বীপ থেকে দক্ষিণ মহারাষ্ট্র পর্যন্ত। সংস্থাটি বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নভেম্বরের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ।

আন্দামান সাগর এলাকাতেই সোমবার ২৭ নভেম্বর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। পরবর্তী দুই দিনে এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিক অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ.ডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ২৭ নভেম্বর সোমবার থেকে ৩০ নভেম্বর বৃস্পতিবারের মধ্যে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের আশপাশে যে লঘুচাপটি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে,তাকে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত করতে পারে আবহাওয়ার মেসন-জুলিয়ান ও ভারত মহাসাগরের ওপর ক্রিয়াশীল দ্বিমেরু ও ধনাত্মক দশা। আর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরও জানান,এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা সম্প্রতি ছোবল হানা মিধিলির চেয়েও শক্তিশালী হয়ে আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশের কক্সবাজার,চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে।

২৭ নভেম্বর ২০২৩
এজি

Share