ভোট কেন্দ্রে পেশি শক্তি কোন ভাবে বরদাস্ত করা হবে না: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে অহিংস রাজনীতিকে সহিংস রূপ দেয়ার চেষ্টা করা যাবে না এবং ভোট কেন্দ্রে পেশি শক্তি কোন ভাবে বরদাস্ত করা হবে না।

তিনি আরো বলেন, পেশি শক্তির ব্যবহার করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সুযোগ নেই। এরকম কিছু প্রমান পেলে প্রর্থীতা বাতিল করা হবে। সহিংসতা হলে নির্বাচন বাতিল করার মতো সিদ্ধান্ত নিবে কমিশন। ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে।

২৯ মে রোববার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কুসিক নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল প্রার্থীর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে এর দায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কুমিল্লার নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কমিশন একটি সুন্দর সুচনা করতে চায়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, সহিংসতা হলে নির্বাচন বাতিল করার মতো সিদ্ধান্ত নিবে কমিশন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নাবী চৌধুরী, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহাম্মদ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল তালুকদার।

নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত সবগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালু থাকবে সুতরাং কেউ যদি মনে করেন যে নির্বাচন কেন্দ্রে প্রভাবিত করে পাশ করে বুঝাবেন সেটি অত্যন্ত ভুল করবেন।

এসময় সভাপতির বক্তব্য কালে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনারা অভিযোগ করবেন, আমরা সব অভিযোগ শুনবো এবং প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে, এমনকি নির্বাচনের পরও তা চলমান থাকবে। তবে, কোনো অবস্থাতেই সহিংসতায় জড়ানো যাবে না। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কাম্য।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসবে, আমরা ক্রমান্বয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরো সুুসংগঠিত, আরো পরিকল্পিত এবং আরো কঠোর করবো। আমরা সবার সহযোগিতা চাই, যারা সহযোগিতা না করবেন তাদের প্রচলিত আইনের আওতায় আনা হবে।

সভায় মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, নিজাম উদ্দিন কায়ছার এবং আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে আতিকুল্লাহ খোকন এবং অন্যান্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও আবেদন তুলে ধরেন।

অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি নিবার্চনে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনার ৩য় দিনের শুরুতেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। সকাল থেকেই প্রচারনায় ব্যবস্ত সময় পার করছেন তিন মেয়র প্রার্থী এবং নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

আজ সকালে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে নৌকা প্রতীকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারনায় অংশ নেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর এবং সমর্থকরা।

অন্যদিকে কর্মীদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারনা চালান স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। এসময় তারা ঘোড়া প্রতীকের ভোট চান।

এদিকে সকাল থেকেই নগরীর চকবাজার এলাকায় জোর প্রচারনা চালান আরেক স্বতন্ত্র প্রাথী মনিরুল হক সাক্কু। টেবিল ঘড়ি মার্কার লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভোট চান।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থীসহ ১৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নগরীর ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। আগামী ১৫ জুন ১০৫ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ২৯ মে ২০২২

Share