জাতীয়

২৩ জেলার ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু

দেশের ২৩ জেলার ২৪ পৌরসভায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলবে।

বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরাও মাঠে রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।

খুব ভালো। ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে, পাশাপাশি ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত শনিবার মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিক সব প্রচার শেষ করেছেন প্রার্থীরা। প্রচারণার শুরুর দিকে নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকলেও শেষদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোটের প্রচার নিয়ে দুয়েকটি এলাকায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ১০ হাজারের কম ভোটারের পৌরসভার জন্য এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১০ হাজারের বেশি ভোটারের পৌরসভার জন্য দুই প্লাটুন এবং ৫০ হাজারের বেশি ভোটারের জন্য তিন প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছেন। বিজিবিতে প্রতি প্লাটুনে গড়ে ৩০ জন করে থাকেন।

এ নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১১ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৩ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

যেসব পৌরসভায় ভোট : পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জ, ঢাকার ধামরাই, সুনামগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড।

প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও গাজীপুরের শ্রীপুরের একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোট পিছিয়ে দ্বিতীয় ধাপে নেয়া হয়।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথম ধাপের ২৪টি পৌরসভায় মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ইভিএমের ‘মক ভোটিং’ হয়েছে। এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করছে কমিশন। তার মধ্যে তিন ধাপে ১৫০টি পৌরসভার তফসিলও হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভায় ভোট হবে।

এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইভিএম এবং ৩২ পৌরসভায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে। আর তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে সর্বশেষ তফসিল দেওয়া হয়েছে। বাকি যেসব পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী হচ্ছে, সেসব এলাকায় চতুর্থ ধাপের ভোট হবে।

দেশে মোট পৌরসভা রয়েছে ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।

ঢাকা ব্যুরো চীফ, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

Share