চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকে দারোয়ান না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনদের। বিশেষ করে দিনের বেলায় প্রবেশদ্বারে পরিবহন জট লেগে থাকায় হাসপাতালে আসতে-যেতে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। এছাড়া হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে পার্কিংয়ে থাকে অন্তত এক ডজন অ্যাম্বুলেন্স।
গেটম্যান বা দারোয়ান না থাকায় সদর হাসপাতালের প্রবেশমুখে সবসময় অটো এবং সিএনজির ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেক সময় তাদেরকে স্ট্যান্ডের মতো সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখতেও দেখা যায়। এতে জরুরি মুহূর্তে রোগী হাসপাতালের ভেতরে বা বাইরে নেয়ার সময় অনেক বেগ পেতে হয়। দারোয়ান না থাকায় সাধারণ মানুষ যে যার মতো করে হাসপাতালে ভেতর প্রবেশ করছেন। এতে করে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটছে।
১৭ অক্টোবর, শনিবার দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটকের মুখ বন্ধ করে বেশ কয়েকটি রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে আছে। এ সময় ভেতরে ঢুকতে গিয়ে দু-তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তাদের সঙ্গে কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হতে দেখা যায়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে জায়গাটি কয়েক মিনিটের জন্য খালি হলেও ১০ মিনিটেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
হাসপাতালের আঙিনায় ইজিবাইক এবং সিএনজি পার্কিং করে যাত্রী খোঁজ করতে দেখা যায় চালকদের। মূলত দারোয়ান না থাকায় তারা অনায়েসেই ভেতরে প্রবেশ করছেন। এতে করে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের পরিবেশ। এছাড়া আঙিনায় বাচ্চাদের খেলনা ও প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রির একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাঝে মাঝে একজনকে গেটে অল্প সময়ের জন্য দেখা যায়। আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে চলে যান। তারপর জায়গাটি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিব-উল-করিম জানান, আমি নিজেও বেশ কয়েকবার এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। এটা একটি বেদনাদায়ক বিষয়। আপাতত আউটসোর্সিং থেকে গেটে একজন দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, আমাদের আনসার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আনসার নিয়োগের প্রক্রিয়াটা শেষ হলে হাসপাতালের পরিবেশ আরও নিয়ন্ত্রিত হবে।
করেসপন্ডেট,১৯ অক্টোবর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur