চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বলেছেন, সরকার মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে ভূমিহীনদের ঘর প্রদানের যে কর্মসূচি নিয়েছে। সেই প্রকল্পের ঘর চাঁদপুরে প্রতিটি উপজেলায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে। আমি নিজে চাঁদপুরের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণ করা ঘরগুলো সর্ম্পকে জানি, সেগুলো অনেক ভাল হয়েছে। নিশ্চিত থাকার পরও স্থানীয় একটি পত্রিকায় রির্পোটের কারণে তারপরও আমি আজ নিজে আজ রোববার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগড়া বাজারের ঘর গুলো দেখতে এসেছি।
তিনি বলেন, স্বল্প ব্যয়ে এত সুন্দর ঘর র্নিমানে আমি অভিভূত। বাস্তব পরিস্থিতি দেখে আমি অভিভূত। আমি নিজে প্রতিটি স্থান ঘুরে দেখেছি, বরাদ্দপ্রাপ্ত লোকজনের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এসব ভূমিহীন লোকজনের জন্য ঘর প্রতি বরাদ্দ হওয়া ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকারও বেশি কাজ করেছেন।
১১ জুলাই রোববার বিকালে জেলা প্রশাসক ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগড়া বাজারের ঘর গুলো দেখতে এসে একথা বলেন। এসময় তার সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি, সহকারি কমিশনার (ভুমি) শারমনি আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার ও বালিতুবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমানসহ সাংবাদিক বৃন্দ।
একই দিনে বিকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি তার কার্যালয়ে ভুমিহীন জন্য তৈরি ২০টি ঘর নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং করেন।
এসময় তিনি বলেন, ভুমিহীনদের জন্য ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২য় পর্যায়ে বাগড়া বাজারে ১৩টি এবং সাহেবগঞ্জ গ্রামে ৭টিসহ মোট ২০টি ঘর তৈরি করা হয়েছে। ঘর তৈরি শেষ হয়েছে। ঘর প্রাপ্তদের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সময়েই তাদের বলা হয়েছে, ঘরগুলোতে কোন খুঁটিনাটি সমস্যা থাকলে আমাদের জানালে তা আমরা সারিয়ে দিবো।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ এবং জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর গভীর নলকূপ বসিয়ে দিয়েছে। ঘরের বাইরে আনুসাঙ্গিক কাজ গুলো যেমন ইটের সলিং ও শেষ পর্যায়ে। আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করেছি ভূমিহীনদের এই ঘর গুলো যেন ভাল ও মানসম্মত হয়। তাছাড়া গাইড ওয়ালসহ যেসব বিষয়ে বলা হয়েছে। তা ঘরের তৈরির প্রাক্কলনের সাথে নেই।
এসময় ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছোবহান লিটনসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১১ জুলাই ২০২১