নেপালে আবারও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার আঘাত হানা এই ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল দোলখা। ভূমিকম্পের প্রভাবে ভারত ও বাংলাদেশের অনেক এলাকা কেঁপে ওঠে।
সাড়ে ১০ সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্পটি বাংলাদেশ সময় ৫টা ৩৪ মিনিটে আঘাত হানে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগারগাঁও ভূমিকম্প পরিমাপক কেন্দ্র থেকে ৫৯১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের নেপাল ছিল মধ্যম মাত্রার এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। কেন্দ্রস্থলে এর মাত্রা ৫ দশমিক ৬ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৭৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। আর ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
এক প্রতিবেদনে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, শনিবারের ভূমিকম্পটি ভারতের বিহারেও অনুভূত হয়েছে। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের বরাত দিয়ে তারা জানায় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
এ নিয়ে পরপর দুদিন একই মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হল নেপালে। শুক্রবার ধাদিং জেলায় ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
মূলত বড় কোনো ভূমিকম্পের পরে এ ধরনের ছোট থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ সব ভূমিকম্পকে বলা হয় আফটারশক। ২৫ এপ্রিল স্মরণকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর নেপালে এ রকম দেড় শতাধিক আফটারশক অনুভূত হয়েছে।
১২ মে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে দোলখা জেলায়, শনিবারের নতুন ভূমিকম্পটির উৎপত্তি যেখানে। ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬।
এর আগে ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। দেশটির ৮১ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে অন্তত আট হাজার ৪৩১ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫