তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে তুরস্কে ১৪ হাজার ৩৫১ জন, আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন। মৃতদেহ উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার মিশনে কাজ করছেন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীরা।
১৯৯৯ সালে তুরস্কে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি নিহত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি প্রতিবেদনে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তুরস্কের ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত শহর গাজিয়ানতেপের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (২৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) নেমে আসে।
এই তীব্র শীতের মধ্যে হাজার হাজার পরিবারকে খোলা জায়গায় নিজেদের গাড়ি ও অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাতে হয়েছে।
অনেকে আবার কম্বল নিয়ে থেকেছেন রাস্তায়। অনেকের বাড়িঘর ঠিক থাকলেও, তারা ভয় পাচ্ছেন নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে। মুছে ফেলতে পারছেন না ভূমিকম্পের দুঃসহ স্মৃতি। অনেকের স্বজনই এখনও নিখোঁজ। ফলে পুরোটা সময় তাদের কাটছে উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তায়।
ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা গেছে উত্তর সিরিয়ায়। সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া লোকজন তাদের উদ্ধারে সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো কেউ নেই বললেই চলে।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তুরস্কের কাহরামানমারস এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারানো কিশোরী মেয়ের হাত ধরে বসে আছেন হতবিহ্বল বাবা। সিরিয়ার জিন্দারিসে শিশুসন্তানের নিথর দেহ আঁকড়ে কাঁদছেন আরেক বাবা।
সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি।