ভূমিকম্পবিধবস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ শেষ বলে ঘোষণা করেছে ইরান। দেশটির সরকারি টিভির খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৪৫০–এ পৌঁছেছে। কয়েক হাজার লোক আহত।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপির খবরে জানানো হয়, ইরানের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা–বিষয়ক প্রধান পীর হোসেইন কুলিভান্দ সরকারি টিভিকে বলেন, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরমানশাহে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।
ইরান-ইরাক সীমান্তে গত রোববার আঘাত হানা ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেরমানশাহ প্রদেশের বেশকিছু গ্রাম, শহর ও পাহাড়ি এলাকা বিধ্বস্ত হয়। এ সময় সেখানে অনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। ভূমিকম্পে ইরানের কমপক্ষে ১৪টি প্রদেশে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কেরমানশাহ প্রদেশের সারপোল-ই-জাহাব শহরে ভূমিকম্পে এক নারীর ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সরকারি টিভিকে তিনি বলেন, তাঁবুর সংখ্যা কম ছিল। তাই পরিবার নিয়ে তাঁকে কনকনে শীতের মধ্যে রাত কাটাতে হয়েছে। ওই নারী বলেন, ‘রাতে অনেক ঠান্ডা ছিল। আমাদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন। সরকারের উচিত আমাদের দ্রুত সহায়তা করা।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গতকাল সোমবার ভূমিকম্পে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম।
ভূমিকম্পে ইরাকের সুলামানিয়াহ প্রদেশে কমপক্ষে ছয়জন নিহত ও ৬৮ জন আহত হয়েছে। আর কুর্দি এলাকায় সাতজন নিহত ও ৩শ’ ২৫ জন আহত হয়েছে।
তুরস্ক, কাতার, কুয়েত ও ইসরায়েলেও রোববার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ চলে গেছে এবং টেলিযোগাযোগব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরাঘাতের কারণে থেমে থেমে কম্পন অনুভূত হয়েছে ইরানে। ফলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় পশ্চিমাঞ্চলের গ্যাসক্ষেত্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে ইরান।
২০১২ সালের পর ইরানে রোববারের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। ২০০৩ সালে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বামে ভূমিকম্পে ২৬ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।
নিউজি ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১২ : ০০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur