চাঁদপুর

চাঁদপুরে ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ হাজার মে.টন

চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা,মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।

২০১৭-২০১৮ অর্থবছর চাঁদপুরে ৪৬ হাজার ৬৯ মে.টন ভূট্টা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার ২শ’৬৫ হেক্টর জমি। চাঁদপুরে সাধাণতঃ আলু ফসল ঘরে তোলার সাথে সাথেই ওই জমিতে চাষিরা ভূট্টা চাষ করে থাকে । ফলে তাদের বাড়তি শ্রম,সময় ও অর্থ
অপচয় কম হয়ে থাকে।

এ দিকে আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা বীজ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ,ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে ভূট্টা চাষ করছে। বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলবে ব্যাপক হারে ভূট্টা চাষাবাদ ও উৎপাদন করে থাকে চাষীরা।

চাষিদের ঋণ সহায়তা দিলে চরাঞ্চলগুলোতে ভূট্টা চাষ সম্ভব। মতলবের চরইলিয়ট চর কাসিম,ষষ্টখন্ড বোরোচর,বোরোচর,চাঁদপুর সদরের সফরমালী,কুমারডুগি , রাজরাজেস্বর,জাহাজমারা,লগ্মীমারা,বাঁশগাড়ি,চিড়ারচর,ফতেজংগপুর,হাইমচরের ঈশানবালা,চরগাজীপুর,মনিপুর,মধ্যচর,মাঝিরবাজার,সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি এলাকাগুলোতে ভূট্টা চাষ করা সম্ভব ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে,চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ১শ’২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০ মে.টন।

মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫ শ’মে.টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ২ হাজার ৩ শ’হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ১শ ২৬ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৫৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ শ’৮১ মে.টন।

শাহরাস্তিতে ভূট্টা চাষাবাদ ৫ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ মে.টন। কচুয়ায় চাষাবাদ ৭শ’৫৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬শ’৬ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ শ’৬২ মে.টন। হাইমচরে এবার ভূট্টা চাষাবাদ নেই ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের কৃষিবিদ আবদুল মান্নান চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘ভূট্টা একটি শর্করা জাতীয় খাবার। দৈনন্দিন জীবনে
আমাদের শর্করা জাতীয় বেশ প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ভূট্টার গুরুত্ব অপরিসীম। শূধূ মানুষেরই নয়;হাঁস,মুরগি ও অন্যান্য গবাদি পশুর খাবার এ ভূট্টা। বিশেষ করে মৎস্য চাষীরাও এটি মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে । অন্য একটি বিষয় অপ্রিয় হলেও সত্য অনেক ময়দার মিল মালিক অধিক মুনাফার লোভে ময়দার সাথে এ ভূট্টা মিশিয়ে চালিযে দিচ্ছে ।’

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৫:০০ পিএম,২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮,মঙ্গরবার
এজি

Share