জাতীয়

ভুয়া অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শিগগির: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখন অনলাইনের সংখ্যা অনেক; তবে সব কটি অনেক ক্ষেত্রেই সহায়ক নয়। সে জন্য আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি।

আমাদের পরিকল্পনা আছে, এ বছরের মধ্যে কার্যক্রমটি শেষ করা। সেইসঙ্গে যেসব অনলাইন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পরিবর্তে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহৃত হয়, গুজবের সঙ্গে যুক্ত, সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে-সেগুলোর ব্যাপারে আমরা আগামী বছর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া শুরু করব। রেজিস্ট্রেশন শেষ হলেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সংগঠনটির অনলাইন জার্নাল ‘রিপোর্টার্স ভয়েস’ উদ্বোধন ও ডিআরইউ সদস্য লেখক সম্মাননা ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উল্লিখিত কথা জানান মন্ত্রী। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান ও ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।

ড. হাছান বলেন, এটি যেমন সমাজের চাহিদা, তেমনি সাংবাদিক সমাজেরও চাহিদা। যে অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো সত্যিকার অর্থে সংবাদ পরিবেশনের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা না করে ভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করে, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর প্রেক্ষাপট। উন্নত দেশগুলোয় এ ক্ষেত্রে অনেক শৃঙ্খলা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে, যেটি এখনও এখানে পুরোপুরি সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে দিতে গিয়ে অনেক সময় ভুল সংবাদ এবং অসত্য তথ্য পরিবেশিত হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায়, অনেক বেশি ক্লিক পাওয়ার জন্য দেয়া হেডিংয়ের সঙ্গে ভেতরের সংবাদের মিল নেই।

বিশেষ করে যে অনলাইনগুলোয় কোনো অনুষ্ঠান চলাকালে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষমতা রিপোর্টারকে দেয়া থাকে, সেখানে অনেক অনিচ্ছাকৃত ভুল হতে দেখা যায়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এটা কমিয়ে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে পিআইবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে, যা সত্যিই প্রয়োজনীয়।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘এখন দেখা যায়, কেউ একজন অনলাইন পোর্টাল খুলে তাকে সাংবাদিকের কার্ড দিয়ে দিল। তিনি প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিক নন, সেই কার্ডটির জন্যই সাংবাদিক সেজেছেন। এগুলো বন্ধ করার জন্য রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিকদের যে ফোরামগুলো আছে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফোরামগুলো উদ্যোগী হলে সরকার আপনাদের পাশে থাকবে, সহায়তা করবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে অনলাইন জার্নাল শুরুর জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে মানুষের কাছে সহজে তথ্য পৌঁছানো সম্ভব। দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, সে কারণে এটা করা সম্ভব হয়েছে। এ আয়োজনে ডিআরইউর ৩০ সদস্য লেখকের হাতে সম্মাননা স্মারক ২০২০ তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

লেখক হিসেবে এ সম্মাননা পেয়েছেন যুগান্তরের দুই জন। ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘গল্প ছাড়া মলাট’-এর জন্য বিশেষ প্রতিনিধি মিজান মালিক এবং পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘শহরে দেবশিশু’র জন্য সিনিয়র রিপোর্টার হক ফারুক আহমেদ সম্মাননা পেয়েছেন। সম্মাননা পাওয়া অন্য লেখকরা হলেন : মোরসালিন আহমেদ, জাকির হোসেন, মিজান রহমান, এম মামুন হোসেন, রিয়াজ চৌধুরী, সাজেদা পারভীন সাজু, আমীন আল রশীদ, মোতাহার হোসেন, প্রণব মজুমদার, আমিরুল মোমেনীন মানিক, রকিবুল ইসলাম মুকুল, আবু আলী, মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ, মো. শফিউল্লাহ সুমন, তরিকুল ইসলাম মাসুম, আবু হেনা ইমরুল কায়েস, মাইদুর রহমান রুবেল, মাসুম মোল্লা, সায়ীদ আবদুল মালিক, দীপন নন্দী, সেলিনা শিউলী, চপল বাশার, আশীষ কুমার দে, জামশেদ নাজির, শামসুজ্জামান শামস, ইন্দ্রজিৎ সরকার, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন ও হাবিবুল্লাহ ফাহাদ। অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী ডিআরইউ নেতাদের উপস্থিতিতে ডিআরইউ মোটরসাইকেল ছাউনির ফিতা কাটেন।

ঢাকা ব্যুরো চীফ,২৭ নভেম্বর ২০২০

Share