Home / জাতীয় / সব শিক্ষক ভিসি হতে চান কেউ পড়াতে চান না
education advisor-

সব শিক্ষক ভিসি হতে চান কেউ পড়াতে চান না

শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না। সবাই ভিসি হওয়ার জন্য তদবির করেন। শত শত শিক্ষক ভিসি হতে চান। কেউ ভিসি, কেউ প্রো-ভিসি হতে চান।’ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে গতকাল ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় এ একনেক সভা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনিুষ্ঠিত হয়।

দুর্নীতি কিছুটা কমলেও চাঁদাবাজি তেমন কমেনি বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা ড.ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘চলতি প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হওয়ায় প্রকল্পের ধীরগতিতে এগুলোর অর্থপ্রবাহ বাড়বে না। অর্থপ্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ এগোতে হবে। নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তবে চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির আগে ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

প্রকল্পের আওতায় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এতদিন সরকারি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কতগুলো গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় আছে, কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে সব খতিয়ে দেখবে সরকার। প্রকল্প শেষ হলে গাড়িগুলো কেন আর খুঁজে পাওয়া যায় না সেটাও যাচাই করা হবে।’

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন,‘ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের টাঙ্গাইল পর্যন্ত স্থবির হয়ে আছে। সেখানে যথেষ্ট বিদেশী অর্থায়ন আছে। সুদহারও কম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান সরকার বিদেশী অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।’

মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন,‘আমরা মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করি না। বিবিএস থেকে যা নিয়ে আসা হয় তা-ই প্রকাশ করা হয়। আইনগত কারণে শুধু আমার দফতরে স্বাক্ষর করা হয়।’

একনেক সভায় ২৪ হাজার ৪১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৭৪৬ কোটি ৬৬ লাখ, বৈদেশিক অর্থায়ন ১৬ হাজার ১২ কোটি ৩৩ লাখ ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৬৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি)’; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল-কাম-রোড সেতু নির্মাণ’ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প। এছাড়া ব্যয় না বাড়িয়ে সাতটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
৮ অক্টোবর ২০২৪
এজি