সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরাধীন ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরে ১০জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান এর নিমিত্ত উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে এসব সামগ্রী ও নগদ অর্থ ১০ ব্যাক্তির হাতে তুলেদেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি অভিশাপ। আমরা সমাজ থেকে এই অভিশাপ দুর করতে চাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যেন বাংলাদেশ থেকে ভিক্ষুক কমে যায় এবং পুনর্বাসিত হয়। সেই প্রচেষ্টা থেকে শুরু করা এবং আমরা চেয়েছি বিজয়ের মাস থেকে এই কাজটি শুরু করব। তারই আলোকে আজকে আমরা ১০জনকে পুনর্বাসন করলাম। আমরা এসব সামগ্রী দেয়ার পূর্বে যে যে কাজে সক্ষম সে আলোকে তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এবং তাদের ইচ্ছেমতই বিভিন্ন সামগ্রী কিনে দিয়েছি। তারা আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছে আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করবে না। তারা নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে চাঁদপুরে এই ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে তাদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পোষাক, মুদি মালামাল, ভ্যান, ওজন মাপার যন্ত্র, গবাদি পশু ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এসব ব্যাক্তিরা তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে নতুন পেশায় যেসব ইচ্ছা পোষণ করেন তারই প্রেক্ষিতে এসব উপকরণ সামগ্রী দেয়া হয়।
সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সরোয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভ্ইূঁয়া, প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট হেলাল হোসাইন, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মিয়া মো. ফিরোজ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও পৌর সমাজ কর্মী মো. কামরুজ্জামান।
পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা হলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. লোকমান হোসেন, নুর জাহান খাতুন, আলমগীর ছৈয়াল, আমেনা বেগম, জানেজা বেগম, তাহেরুন্নেছা, মনোয়ারা বেগম, লুৎফা বেগম, জামিলা খাতুন ও নাজমা বেগম।
স্টাফ রিপোর্টার