মাস গেলে কত টাকা বেতন পান আপনি? ১০-১৫ হাজার রোজগার করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় মাসের প্রত্যেকটা দিন। কয়েক বছর পরিশ্রম করার পর হয়তো বেতনের অঙ্কটা ২০ কিংবা ২৫ হাজারের ঘরে পৌছায়।
অথচ ভারতের ঝাড়খন্ডের ছোটু বারাইক স্রেফ ভিক্ষা করেই মাসে ৩০ হাজার রুপি ঝুলিতে পুরছেন। সেখানকার রেলওয়ে স্টেশনে নিয়মিত ভিক্ষা করে করে ছোটু বারাইক আজ কোটিপতি!
অবশ্য ছোটু কেবল ভিক্ষাই করেন না, আরও নানামুখী কাজে জড়িত। একটা সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটর তিনি। রেলের যাত্রীদের মাঝে মধ্যে মেম্বারশিপও করান। কখনো কখনো ফেরি করে বেড়ান। এছাড়া নিজ এলাকায় ছোটুর একটি দোকানও আছে। আর এসব থেকেও তার রোজগার ভালোই হয়। সব মিলিয়ে প্রায় লাখ চারেক টাকা আসে হাতে প্রতি মাসে।
বিয়ে করেছেন তিন তিনটে। চালান তিন খানা ভিন্ন ভিন্ন পরিবার। এক স্ত্রী দোকান দেখে। বাকি দুজন সন্তানদের দেখা শোনা করে। ছেলে মেয়ে আর স্ত্রীদের নিয়ে বেশ আরামেই কাটছে তার জীবন। মাসের আয় থেকে তিন বউকে সমানভাবে টাকা দেন ছোটু।
আমাদের দেশে খুঁজলেও বোধহয় এমন ভিক্ষুক মিলবে। আমরা সাধারণত দয়া করে কোনো ভিক্ষুকের হাতে বা হাতে রাখা পাত্রে কয়েন বা নোট দিই। সারা দেশে প্রচুর ভিখারি রয়েছেন। যারা দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে ভিক্ষা করেন। তবে ভিখারিদের মধ্যে অনেকে আবার পেশাদারও বটে। এই পেশাদার ভিখারিদের আয় আমাদের অনেকের চেয়েও বেশি। ঠিক যেমনটা ছোটু বারাইকের।
আসলে বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি একটি লাভজনক বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে। এ বাণিজ্যের নেপথ্যে কাজ করছে কিছু শক্তিশালী চক্র বা সিন্ডিকেট। যদিও ভিক্ষা একটি সামাজিক সমস্যা ও অপরাধ। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেও ভিক্ষাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবু কে শুনে কার কথা।
(ঢাকাটাইমস)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ২০পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার
এএস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur