ভিক্ষাবৃত্তি নয়, কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে চায় প্রতিবন্ধী সাখাওয়াত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। সুন্দর করে কথা বলা সাখাওয়াত বুদ্ধিমত্তায়ও পিছিয়ে নেই। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সাখাওয়াত জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার পিতা-মাতা আছে, কিন্তু সে পারে না সমাজের অন্য দশজনের মত হাটতে, চলতে-ফিরতে।

জীবন জীবিকার সন্ধানে পা ব্যবহার করে কাজ না করতে পারা সাখাওয়াত এক সময় হুইল চেয়ারে করে বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সাখাওয়াতের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম তার মনের অব্যক্ত কিছু কথা।

একটা পর্যায়ে বলেই ফেললো ভিক্ষাবৃত্তি করা আমার কাছে ভালো লাগে না। নিজে এবং বয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এটা করতাম। দুমুঠো ভাতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে না পারা সাখাওয়াতও থেমে নেই। মানুষের সহযোগিতায় বাড়ির সামনে সুবিদপুর আদর্শ বাজারে রাস্তার পাশে দোকান দিয়ে পান, সিগারেট বিক্রি কোন মতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যা আয় হয় তা দিয়ে পিতা-মাতাসহ তিন জনের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য বলে সাখাওয়াত জানান।

এ দিকে সাখাওয়াত বললো, তার নামে প্রতিবন্ধী কার্ডও রয়েছে কিন্তু সামান্য কয়েকটি টাকা দিয়ে একজন মানুষের এ চলা অসম্ভব, আর তা দিয়ে আমি কিভাবে নিজেসহ মা-বাবাকে চালাই। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে দিলে ভিক্ষাবৃত্তি বিহীন পিতা-মাতাসহ দু বেলা দু মুঠো খেয়ে জীবন অতিবাহিত করতে পারতো বলে সাখাওয়াত জানান।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,৯ জুন ২০২১

Share