কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের (সম্মান) শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে (১৯) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘হিজাব’কে তুলোধুনো করছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন।
রোববার রাতে (২০ মার্চ) ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তনুর লাশ। তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করার পর গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু পর্দানশীন ছিলেন। তিনি মাথায় হিজাব পরতেন। তনুর হিজাব পরিহিত ছবি শেয়ার করে গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছবি শেয়ার করা হয়। এ ছাড়া দেশব্যাপী তনু হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) তসলিমা নাসরিন তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে নাকি খুব সুরক্ষিত এলাকায় একটা হিজাবি মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে? মেয়েদের চুল ঢেকে রাখতে বলা হয় ইসলামে, কারণ চুল দেখলে না কি পুরুষের যৌন ইচ্ছে জাগে। তো, চুল তো সেই মেয়ে ডবল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতো, সামান্য একটি চুলও কারও দেখার সুযোগ ছিল না। তাহলে কী কারণে পুরুষের যৌন ইচ্ছে জাগলো হিজাবি মেয়েটাকে দেখে? না কি আজকাল হিজাবই যৌন ইচ্ছে জাগায়?’

তসলিমা বলেন, ‘আমার তো মনে হয় হিজাবই জাগায়। হিজাব ভীষণরকম সেক্সি হয়ে উঠছে দিন দিন।’
ফেসবুকে তিনি আরও লেখেন, ‘যৌন ইচ্ছে জাগানো খারাপ নয়। তবে আশংকা হচ্ছে হিজাব এতই মেয়েদের যৌনবস্তু বানিয়ে ফেলছে, এতই যৌনবস্তু, এতই, যে, পুরুষের এখন যৌন ইচ্ছের বদলে হিজাব দেখে ধর্ষণেচ্ছা জাগছে।’
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার তনু কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা ইয়ার হোসেনের মেয়ে। ইয়ার হোসেন ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সেই সুবাদে সোহাগীরা অনেক দিন ধরেই অলিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সোহাগী মেজো। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী পাড়াশোনার পাশিপাশি বাসার কাছে অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছিলেন। (বাংলামেইল)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১:০৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur