কুমিল্লার দেবিদ্বারে ভালোবেসে বিয়ে করার ১৬ দিনের মাথায় আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ স্বর্ণা আক্তার মীম।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভোরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বর্ণা আক্তার উপজেলার ধামতী উত্তর পাড়া মৃত মো. সামসুল হক মেয়ে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জাগো নিউজকে জানান, স্বর্ণা আক্তার মীম (১৯) ভালোবেসে গত ১৯ এপ্রিল কুমিল্লা কোর্টে বিয়ে করেন একই গ্রামের রহিম মাস্টারের ছেলে কামরুলকে। তবে বিয়ে মেনে নেননি কামরুলের বাবা রহিম মাস্টার। ফলে বিপত্তি বাধে কামরুল ও স্বর্ণার নতুন সংসারে। বিয়ের পর থেকেই স্বর্ণা দেবিদ্বারে তার বড় বোনের বাসায় থাকতেন। গত শনিবার স্বর্ণা ধামতী বাবার বাড়িতে আসেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) ভোরে সাহরির সময়ে বড় বোন শিল্পী স্বর্ণার মোবাইল বন্ধ পেয়ে পাশের ঘরের চাচিকে ফোনে তার খোঁজ নেন। পরে স্বর্ণার চাচা ও চাচি স্বর্ণাকে ডাকাডাকি করে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুকুর পাড়ে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্বর্ণার মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়া হয়।
পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে, নিহতের স্বামী মো. কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, রাত ১২টায় তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। ভোর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে তার মৃত্যুর সংবাদে ছুটে যাই, আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
কুমিল্লা প্রতিনিধি