পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান ও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নূরুল আমিন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আনিসুর রহমানের স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নুরুল আমিন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪নং পশ্চিম সুবিদপুর ইউনিয়নের আইটপাড়া গ্রামে ১০ জুন ১৯৬১ সালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের পর ১৯৮৪ সালে প্রতিযোগীতামূলক বিসিএস পরীক্ষায় পাস করে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি। তাঁর প্রথম পদায়ন হয় ঢাকা কালেকটরেটে।
সেখানে ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর তাঁকে ফরিদপুরে সহকারী কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়। সেখানে ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর রাজৈর উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি হন। সেখানে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা পদে ঝালকাঠি কালেক্টরেটে বদলি হন। সেখানে সাড়ে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর মুন্সিগঞ্জ এর লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে দায়িত্ব পান।
সেখান থেকে ৩ বছর পর বদলি হন রামগঞ্জ উপজেলায়। এরপর তিনি মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ সচিব পদে দায়িত্ব পান। সেখান থেকে বদলি করা হয় নেত্রকোণা জেলা পরিষদে। সেখান থেকে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদে। এরপর তিনি ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান। এই দায়িত্ব ৩ বছর পালনের পর তাঁকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ওই দায়িত্বে ২ বছর থাকার পর তাঁকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পদে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানে দেড় বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক পদে দায়িত্ব পান। দেড় বছর পর তিনি যশোরের জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি হন। সেখানে প্রায় ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন।
সেখানে ৮ মাস দায়িত্ব পালনের পর বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পান।ওখান থেকে প্রায় ২ বছর পর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব দেয়া হয় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে।
অদ্যাবধি তিনি এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
প্রসঙ্গত, তিনি ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও রাষ্ট্রীয় কাজে তিনি থাইল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সউদী আরব ও নেপাল সফর করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি চাঁদপুরবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট