ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে সাইক্লোন নিসর্গ। মনে করা হচ্ছে, বুধবার আছড়ে পড়বে ভারতের মহারাষ্ট্র উপকূলে। শুধু মহারাষ্ট্রেই নয়, গুজরাট উপকূলেও ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালাবে এই ঝড়। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গভীর নিম্নচাপ থেকে সাইক্লোনের চেহারা নেবে এই ঘূর্ণিঝড়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রথমে উত্তরমুখী পড়ে অভিমুখ পরিবর্তন করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শেষ পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় এটি মহারাষ্ট্রের রায়গর এর কাছে হরিহরেশ্বর ও দমনের মাঝে উপকূলে আছড়ে পড়বে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এই ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে মানুষজনকে।
সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, এরই মধ্যে গুজরাট উপকূল থেকে ২০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। প্রাণহানি এড়াতে আরও মানুষজনকে সরানো হচ্ছে। তৈরি রয়েছেন কোস্ট গার্ড এবং ইন্ডিয়ান নেভি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা দলকেও তৈরি রাখা হয়েছে। সাইক্লোনের তাণ্ডব কিছুটা ঠান্ডা হলেই উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কালেক্টর কৈলাশ সিন্দে জানিয়েছেন, মোট ৫৭৭টি মত্স্যজীবীদের বোট সমুদ্রে গিয়েছিল তবে সোমবার পর্যন্ত ৪৭৭টি ফিরে এসেছে। বাকিরা এখনও ফেরেনি বলেই জানা গেছে। সেই কারণে যথেষ্ট চিন্তায় স্থানীয় প্রশাসন। কোস্ট গার্ডকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে, নিসর্গ নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এ সামুদ্রিক ঝড় বাংলাদেশ পর্যন্ত আসবে না। তারপরও ঝড়ের প্রভাব পড়বে এ দেশের আবহাওয়ায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, নিসর্গের প্রভাবে দেশে ভ্যাপসা গরম বিরাজমান থাকবে কয়েকদিন। ঝড়-বৃষ্টি যেভাবে হচ্ছে, সেভাবেই হবে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, নিসর্গ বাংলাদেশে তো আসবেই না। ভারতের মধ্যভাগেই শেষ হয়ে যাবে। তবে আমাদের বর্ষা মৌমুস আটকে দিয়েছে এ ঝড়। এর কারণেই বর্ষাটা দেশের অভ্যন্তরে আসতে পারছে না। বঙ্গোপসাগরেই আটকে আছে। কয়েকদিন দেরিতে দেশের অভ্যন্তরে আসবে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।