ভারতে প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষের কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য ‘ট্রিপল মিউটেশন’ অর্থাৎ তিনটি আলাদা কোভিড স্ট্রেইনের একসঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে এর আগে ‘ডাবল মিউটেশন’ শনাক্ত হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবার নতুন মিউটেশনের দেখা মিলছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে নতুন এই মিউটেশন বেশি ছড়িয়েছে।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মধুকর পাই বলছেন, ‘ট্রিপল মিউটেশন তুলনামূলক বেশি হারে মানুষকে সংক্রমিত করছে। মানুষ এতে দ্রুত অসুস্থও হয়ে পড়ছে।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি বেশি বেশি ছড়াচ্ছে বলে বেশি প্রতিলিপি তৈরি হচ্ছে। এতে মিউটেশনও বেশি হচ্ছে।ওয়ার্ল্ডো মিটারের বুধবার সকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২০ জন যা এখন পর্যন্ত দেশটিতে সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যু।দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে করোনার মোট সংক্রমণ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৭০ জন।
এই পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘দেশকে লকডাউনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। সংকটের সময়। এখন দেশকে লকডাউনের দিকে নিয়ে যাবেন না।’
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ২১ এপ্রিল,২০২১;