ভারতে গত একদিনে ৩৭ নিয়ে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে এখন ৪১৪; আক্রান্ত ১২ হাজার ৩৮০ জন। ইতোমধ্যেই করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেশটির ৬৪০ জেলার মধ্যে ১৭০টি জেলাকেই হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে আরও ২০৭টি জেলা।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার সংক্রমণ যেন ওই জেলাগুলোর বাইরে না ছড়াতে পারে সেদিকে নজর রাখতে সব রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এসব জেলায় শুধু করোনা সন্দেহে নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জার কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ দেখা দিলেও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হটস্পটগুলোতে আগামী ২৮ দিন পর্যন্ত অর্থাৎ যতদিন না সমস্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠছে কিংবা নতুন করে কেউ সংক্রমিত হওয়া বন্ধ হচ্ছে ততদিন সব বিধিনিষেধ জারি থাকবে। গ্রামীণ এলাকার হটস্পটগুলো ৩ কিমি এবং বাফার অঞ্চলে (কমলা জোন) ৭ কিমি ব্যাসার্ধে থাকবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই সংক্রমণের উৎসের ব্যাপারে। তবে শহরাঞ্চলে যে এই বিষয়টি খুঁজে বের করা বেশ কঠিন বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোন কোন এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, সেসব এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট রাখতে। এর ওপর ভিত্তি করেই হটস্পটের তালিকা পরিবর্তন করা হবে। এটি একটি চলমান পদ্ধতি বলে জানানো হয়েছে।
ভারতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও কিছু কিছু এলাকায় এই বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত গণপরিবহণ চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
এছাড়া লকডাউন চলাকালীন যে কোনো ধরনের জমায়েত পুরোপুরি নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে সরকার। তবে যেসব এলাকায় ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রায় ছড়ায়নি, সেসব এলাকার কিছু কিছু স্থান লকডাউনের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে মোদি সরকার স্পষ্টভাবে এটাও বলে দিয়েছে যে, করোনা সংক্রমণপ্রবণ হটস্পটগুলোত লকডাউনের কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে এবং কঠোর নজরদারি করবে প্রশাসন।
বার্তা কক্ষ,১৬ এপ্রিল ২০২০