ভারতেই থাকবেন শেখ হাসিনা, অন্য কোথাও যাবেন না। তবে রাজনৈতিক আশ্রয়ে নয়, ভারতীয় ভিসা গ্রহণের মাধ্যমেই দেশটিতে অবস্থান করবেন তিনি।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নিউজ এইটিন এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবস্থান করতে যাচ্ছেন। এর আগে জানানো হয়েছিল যে, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শেখ হাসিনা ভারতীয় ভিসার মাধ্যমেই দেশটিতে অবস্থান করবেন। কারণ ভারতের সংবিধানে কোনো শরণার্থী বা সাহায্যপ্রার্থী আশ্রয় নেওয়ার আইন নেই।
নিউজ-এইটিনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন, সেটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কারণ যুক্তরাজ্য এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও তার ভিসা বাতিল করেছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দিতে যুক্তরাজ্যের ওপর ইউরোপের অন্য দেশগুলোও চাপ দিচ্ছে। তবে ভারত সরকার তাকে বলেছে যে, যতদিন পর্যন্ত তিনি ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঠিক না করছেন, ততদিন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করতে পারবেন।
শেখ হাসিনা গত সোমবার বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে তড়িঘড়ি করে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। প্রাথমিক অবস্থায় তার পরিকল্পনা ছিল- প্রথমে ভারতে যাবেন। দেশটিতে অল্প সময় অবস্থান করে উড়াল দেবেন যুক্তরাজ্যে। কারণ তার বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তবে সেটা না হওয়ায় এখন তিনি ভারতেই থেকে যাবেন।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে দিল্লি-ভিত্তিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। যে কারণে দিল্লিতেই অবস্থান করেন তিনি।
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ৯ আগস্ট ২০২৪