ভারত থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আসা তিন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। রোববার (১৬ মে) বিকেলে লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ওই তিন শিক্ষার্থী বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রাতিষ্ঠানিক আবাসিক হোটেল ‘সাম টাইমে’ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন তাদের নজরদারিতে রেখেছে। শিক্ষার্থীর করোনা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠানো হবে।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, রোববার (১৬ মে) দুপুর ২টার দিকে ভারত থেকে এক বাংলাদেশী বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশি পাঁচ সদস্যের একটি পরিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা দিয়ে ফেরত গেছেন।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ২৬ এপ্রিল (সোমবার) বাংলাদেশ থেকে ভারতের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় ভারতের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থী ও চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশিরা আটকা পড়েন ভারতে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকাসহ নানা শর্তে তারা দেশে প্রবেশের অনুমতি পান।
গত ২৬ এপ্রিল (সোমবার) থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে অনুমতি নিয়ে এখন পর্যন্ত আটকাপড়া শিক্ষার্থীসহ ২০২ জন দেশে ফিরেছেন। বুড়িমারী স্থলবন্দর সংলগ্ন পাঁচটি আবাসিক হোটেলে ৮৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১০১ জনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সময় ভারত ফিরে গেছেন ১০৬ জন। দুই ধাপে ৩৫ জনের করোনা নেগেটিভ আসায় উপজেলা প্রশাসন তাদের ছাড়পত্র দিয়েছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুর রহমান বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা তিন শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তাদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা নমুনা সংগ্রহ করে আইডিসিআরে পাঠানো হবে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,১৬ মে ২০২১