চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্বচরকৃঞ্চপুর গ্রামের আবু তাহের খানের অসহায় নিরীহ পরিবারকে তার বড় ছেলে আঃ রহমানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
আবু তাহের খানের পরিবারের সাথে এ মামলায় তার চাচাতো ভাই উপজেলা আওয়ামী ওলামালীগের সভাপতি মাওঃ মোঃ কামাল উদ্দিনকে আসামী করায় গত ১৩ তারিখ রাতে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, হাইমচর উপজেলার পূর্বচরকৃঞ্চপুর গ্রামের আবু তাহের খানের ছেলে মোঃ আঃ রহমান ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মৃতঃ মনু মিয়ার মেয়ে সুইটিকে ২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করে বিদেশে চলে যান। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান আসে। স্বামীর বিদেশে থাকার সুযোগে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরপোয় গ্রামের হান্নান বেপারীর ছেলে দলিল লেখক মোঃ রাসেল বেপারী সাথে সুইটির অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রতিনিয়ত সুইটির পরকীয়া প্রেমিক রাসেল সুইটির সাথে স্বামীর বাড়িতে রাতে দেখা করতো। এরই মাঝে আবদুর রহমান বিদেশ থেকে ফিরে তার সকল অপকর্ম শুনতে পেয়েও একমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে তার স্ত্রী সুইটিকে অনেকভাবে বুঝানোর পরেও রাসেলের সাথে গোপনে ও বাপের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে।
গত ৭ নভেম্বর আবদুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে আসে শাশুড়ী। রাত ২টায় আবদুর রহমান সুইটি ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাসেলকে তারই বসত ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরের দিন হাইমচর উপজেলার আ’লীগের সভাপতির অফিসে সুইটি ও তার মা জরিনা বেগমের উপস্থিতে উভয়ের সম্মতিক্রমে স্বেচ্ছায় তালাক নামা রেজিস্ট্রি করা হয়। সুইটির ভরণপোষণ বাবদ নগদ টাকা ও মেয়ের লালন পালনের খরচ মিটিয়ে দেয়া হয়।
বাড়ির মুরব্বি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন খান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মিমাংসার স্বার্থে উপস্থিত ছিলেন। সুইটি আক্তার ডিভোর্সের প্রায় ২ মাস পর গত ৪ জানুয়ারী চাঁদপুর আদালতে যৌতুক আইনে স্বামী আঃ রহমান, দেবর ও স্বামীর চাচা হাইমচর উপজেলা ওলামা লীগ নেতা মাওঃ মোঃ কামাল উদ্দিনকে আসামী করে বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় মাওঃ কামাল উদ্দিনকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গত ১৩ জানুয়ারি আটক করে জেলে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে আবদুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমি বিদেশে থাকাকালীন আমার স্ত্রী সুইটির নামে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা পাঠিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে টাকার হিসেব চাইলে আমার সাথে খারাপ আচরণ ও তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। আমার স্ত্রীর তারই এলাকার রাসেল নামে এক যুবকের সাথে বিয়ের পূর্ব থেকে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। আমি বারবার বুঝানোর পরও তার সাথে যোগাযোগ রেখেই চলছে। কিছুদিন পূর্বে সুইটি আমার অজান্তে তার বোন সহ মেঘনা নদীর ওপারে ৫ থেকে ৭ দিন বেড়ানোর নাম দিয়ে রাসেলের সাথে রাত কাটিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি তাকে গত ৭ নভেম্বর আমার ঘরে রাত ২টায় আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিতিতে বিচারের মাধ্যমে মিমাংশা করা হয়। সুইটি কারো পরোচনায় পরে হয়রানি করার লক্ষ্যে মিথ্যে মামলায় দায়ের করে। গত ১৭ জানুয়ারি আমার চাচা কামাল উদ্দিনের জামিনের জন্য আদালতে গেলে সুইটিও তার পরকীয়া প্রেমিক রাসেলের সহযোগিরা আদালত এলাকায় আমাদের উপর হামলা করে। আদালতের আসা বিচার প্রার্থীরা আমাদেরকে রক্ষা করেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে বিচার কামনা করছি।
হাইমচর করেসপন্ডেন্ট || আপডেট: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, রোববার
এমআরআর