‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে চাঁদপুর পিটিআই প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের ডিপিএড ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষের বকেয়া ভাতা দ্রুত প্রাপ্তির দাবি জানানো হয়েছে।
১৬ জুন বুধবার সকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের আলীগঞ্জ পিটিআই মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় চাঁদপুর পিটিআই প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকেরা। এ সময় ভাতা বন্ধ হওয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
পিটিআই সুপারেন্টেন্ড জয়নাল আবেদীনের কাছে মানববন্ধন শেষে ন্যাপের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ডিপিএড ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত পিটিআইতে সশরীরে উপস্থিত থেকে ক্লাসে অংশগ্রহণ করার পর করোনা মহামারির কারণে তারা ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ঘরে বসে ডিপিএড অনুশীলন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, যার স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে নেপ কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপনে।
তারা বলেন, অনলাইনে ক্লাস করার জন্য প্রস্তুতি প্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস হাইপারফরম্যান্স ল্যাপটপ-অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ক্রয় করে। অনলাইন ভিডিও ক্লাস করার জন্য বেশি খরচ করে বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়। আবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ক্লাস চালু রাখার জন্য উচ্চ মূল্যের মাসিক মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নিতে হয়েছে।
মানববন্ধনে প্রশিক্ষনার্থী নাজিম উদ্দিন লিটু বলেন, তাদের অনলাইন ক্লাস করা বাবদ আয়ের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। এই ব্যয়ের বেশির ভাগই লোন করে করতে হয়েছে। যা মাসিক বা সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে। ওই লোন পরিশোধ করতে গিয়ে সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনলাইন ভিডিও ক্লাস করতে এত অধিক পরিমাণ খরচ হবে, তা তাদের ধারণা ছিল না।
তিনি আরো বলেন, মাসিক ভিত্তিতে বরাদ্দকৃত প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে ডিপিএড শিক্ষার্থীগণ অনলাইন শ্রেণিকার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার ইন্টারনেট ব্যয় করেছি। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ভাতা দেয়নি।
প্রশিক্ষনার্থী সানজিদা বেগম বলেন, চাঁদপুরসহ দেশের ৫৭টি পিটিআই পেয়েছে ৬ মাসের ভাতা। এখানে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের ভাতা বকেয়া রয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষকেরা বলেন, দ্রুত সব সমস্যার সমাধান করে বকেয়া ভাতা দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোভাবে থাকত পারব। অন্তত তাদের নিয়ে কোনোমতে সংসার চালাতে পারি, সেই আকুতি জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়ায় প্রশিক্ষনার্থীরা হলেন মো. আবদুল আউয়াল, নাজিম উদ্দিন লিটু, মীর হোসেন, কাকন খান, সজিব হোসেন, মনির হোসেন, ইকবাল হোসেন, সানজিদা বেগম, আয়শা আক্তার, অর্জুন কুমার, আল-আমিন, শরীফুল আলম, তাহমিনা আক্তার, মো. আজহারুল ইসলাম, আবদুল করিম ও ববিতা রাণী দাস প্রমুখ।
প্রতিবেদকঃজহিরুল ইসলাম জয়,১৬ জুন ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur