হাজারো সম্পদের ভাণ্ডার। এই সমুদ্র যেমন অনেক মানুষের দুর্ভাগ্যের কারণ, তেমনি অনেক মানুষের সৌভাগ্যেরও কারণ। যেমন ধরা যাকআমাদের আজকের এই ব্রিটিশ ভদ্রলোকের কথাই। তিনি সমুদ্র সৈকত তীরে একটি হলুদ রংয়ের মূল্যবান পাথর খুঁজে পেয়ে রাতারাতি ধনী বনে গেছেন। অবশ্য পাথরটি পাওয়ার পরেও তিনি বুঝতে পারেননি যে তিনি মোটামুটি বেশ বড়লোক হয়ে গেছেন। তবে যখন তিনি জানতে পারলেন যে, তার প্রাপ্ত পাথরটি আসলে তিমি মাছের বমি যা এম্বারগ্রিস বা অম্বর নামে পরিচিত, তখন আর আনন্দ কে দ্যাখে।
গত শুক্রবার রাতে এক নিলামঘরে তোলা হয় দুস্প্রাপ্য ওই এম্বারগ্রিসটি। সেখানে পাথরটি মোট ৬ হাজার ৭শ ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা রাষ্ট্রায়ত্ব গণমাধ্যম সিনহুয়া। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি কোন সৈকত থেকে তিনি এটি খুঁজে পেয়েছেন সেটিও প্রকাশ করা হয়নি। তবে যুক্তরাজ্যের উত্তর ওয়েলসের অ্যাঙ্গেলেসে দ্বীপের সৈকতে এ জাতীয় পাথর খুঁজে পাওয়া যায়।
শুক্রবার ইংল্যান্ডের এক নিলামঘরে ওই পাথরটিকে নিয়ে রীতিমত সাড়া পড়ে যায়। নিলাম আয়োজকদের ধারণা, কালো ও হলুদ রংয়ের এক কেজি ওজনের ওই বিরল পাথরটি প্রায় ৫০ বছর ধরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল।
তিমির বমি থেকে নির্গত অম্বর প্রসাধনী শিল্পে মূল্যবান উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে প্রসাধনীর বাইরে বিরল কিছু রোগের ওষুধ তৈরিতেও এর ব্যবহার রয়েছে, তাই চিকিৎসাখাতেও রয়েছে এর অনেক চাহিদা। প্রসাধনীর সুগন্ধী বাড়ানো এবং দীর্ঘ সময় তা ধরে রাখার কাজ করে। এছাড়া কিছু বিশেষ ধরণের খাদ্য ও মদ তৈরি এবং ভেষজ ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধেও এর ব্যবহারের চল রয়েছে।
|| আপডেট: ০৪:২৯ অপরাহ্ন, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শনিবারচাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur