চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তেলবাহী লরির সাথে সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে চালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছে।
১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ভোর পৌনে আটটায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সন্নিকটে চাঁদপুর-লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়। নিহতরা হলেন সিএনজি চালক জাহাঙ্গীর হোসেন(৪০), যাত্রী ইয়াসমিন আক্তার রুমা (৩৮) এবং মামুন হোসেন(৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন,সোমবার ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালে রুমার ভাই অপুর এপেনডিক্সের অস্ত্রোপাচার হয়। রাতভর ভাইয়ের সেবা করে ভোরে সিএনজিতে করে গৃদকালিন্দিয়ার নিজ বাসায় ফিরছিলেন ইয়াসমিন।
পথিমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় পৌঁছালে রায়পুর থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা গ্রুপের তেলবাহী লরির সাথে সিএনজিটির মুখোমুখী সংঘর্ষ হয় এবং লরি ও সিএনজির দু’টিই পার্শ্ববত্বী খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াসমিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
দূর্ঘটনাটি সয়ং প্রত্যক্ষদশী রিতা সর্দার জানান, আমি সাকালে দাঁত মাজতে মাজতে আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে রাস্তার দিকে যেতেই দেখি তেলবাহী ট্রাক সিএনজিটিকে ধাক্কা দিলে সিএনজিটি ও ট্্র্
তেলের লরিটি পাসে থাকা খালে পড়ে যায় এবং লরির ড্রাইবার ও হেলপার দ্রুত পালিয়ে যায়।
আশংকাজনক অবস্থায় মামুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মামুনের মৃত্যু হয়।
নিহত ইয়াসমিন ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবড়ালী গ্রামের আব্দুস ছোবহান স্বপনের স্ত্রী। তিনি ২ কণ্যা সন্তানের জননী। নিহত জাহাঙ্গীর আন্তঃজেলা রায়পুর উপজেলার চরমোহন ইউনিয়নের মনীর মুন্সীর ছেলে। তিনি ৩ ছেলে সন্তানের জনক। নিহত মামুন ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা গ্রামের বাসিন্দা।
ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদ হোসেন জানান, দূর্ঘটনার পর তেলের লরির চালক পলাতক রয়েছে। আমরা সিএনজিটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়কে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা দায়ের করেননি।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি ও শিমুল হাছান,
১ ডিসেম্বর ২০২০