প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল লটারি পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর । প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল লটারি পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল লটারি পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। সারাদেশের মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ১৪ ডিসেম্বর অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল সিট (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
ফলাফল সিট অনুযায়ী ক্রমানুসারে আগামি ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর এবং অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার সময় আবশ্যিকভাবে নিচের বিষয় অনুসরণ করতে হবে।
১) ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে;
২) নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি,জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), বাব-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে;
৩) মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনও শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না;
৪) একই শিক্ষার্থী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বার বার পরিবর্তন করে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) জালিয়াতির কারণে তাকে ভর্তি করা যাবে না;
৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যে সব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে ভর্তির সময়ে ওই কোটাগুলোয় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য সংরক্ষিত কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমান তালিকার ক্রমানুসারে ওই শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না;
৬) সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন এর ভর্তি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি ভর্তি নীতিমালা- ২০২২ সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে এ সুবিধা কোনও দম্পতির সর্বোচ্চ দু’ সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে;
৭) সর্বোপরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে;
৮) উপরোল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
১৪ ডিসেম্বর ২০২২
এজি