ভর্তির অপেক্ষারত অবস্থায় মেঝেতেই ঢলে পড়লেন ফরিদগঞ্জের সিরাজ ব্যাপারী

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের জরুরি বিভাগ। ভর্তির অপেক্ষায় বসে আছেন সারি সারি রোগী। এখানেই বসে অপেক্ষা করছিলেন করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা সিরাজ ব্যাপারী (৬৫)। অপেক্ষা যেন শেষ হয় না। একসময় মেঝেতে ঢলে পড়েন তিনি।

রোগীর মেয়ে রোকেয়া বেগম বলেন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলান ফনি শেখ গ্রামের বাসিন্দা তার বাবা সিরাজ ব্যাপারী সাপ্তাহখানেক ধরে অসুস্থ। স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়ে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যান চাঁদপুর সদর হাসপাতালে। এরপর শুরু হয় তার শ্বাসকষ্ট।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখানে এসে জানতে পারেন সিট ফাঁকা নেই। অপেক্ষা করতে থাকেন। এখানে আসা অন্য রোগীর স্বজনদের এদিক ওদিক ছুটাছুটির সময়ে একসময় দেখেন তার বাবা মেঝেতে পড়ে গেছেন।

পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় সেখান থেকে তাকে উঠিয়ে দ্রুত জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্মরত ওয়ার্ড বয়রা পরীক্ষা করেন অক্সিজেন লেভেল ৮০। দ্রুত তাকে অক্সিজেন লাগানো হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, আরও অপেক্ষা করতে হবে। একটি সিট ফাঁকা হলেই তাকে ভর্তি দেওয়া হবে।

করোনা ইউনিটের জরুরি বিভাগে ভর্তির রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে ৩০ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই সিটের অতিরিক্ত রোগী ভর্তি নিচ্ছি। যে পরিমাণ রোগীর চাপ বাড়ছে। সামনে কী করবো বলতে পারছি না।

হঠাৎ করে এতো রোগী বাড়ার কারণ কী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রথমত সচেতনতার অভাব। তেমন কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। তাই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এখন সকলেরই সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই রোগীর চাপ কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

আশরাফুল আলম বলেন, রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও স্বাস্থ্যবিধি মানেন না। এতে করে ওই স্বজনদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে।

ঢাকা ব্যুরো চীফ, ৩ আগস্ট ২০২১

Share