মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের জহুরা বেগম বাদী হয়ে পুত্রের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ২০১৩ সনের পিতা-মাতা ভোরণ-পোষণ আইনে মামলা দাখিল করেছেন। বিচারক মোহাম্মদ সুমন হোসেন বাদীর মামলা আমলে গ্রহণ করে আসামীর প্রতি সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার জানান, জহুরা বেগম ও তার স্বামী পাঁচু সরদার ভোরণ-পোষণ প্রদানের শর্তে তাদের শেষ সম্বল বসতবাড়ি পুত্র সেলিম সরদার ওরফে মধুর নামে হেবা দান পত্র হিসেবে লিখে দেন।
পুত্র সেলিম সরদার জানুয়ারি মাসের মধ্যভাগে পিতা-মাতার ভোরণ পোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। আয় উপার্জনহীন পিতা-মাতা অর্ধাহারে, অনাহারে দিনাতিপাত করার অবশেষে শনিবার বিকাল বেলা পুত্র সেলিমের কাছে প্রতিদিন মাত্র ৫০ টাকা করে ভোরণ-পোষণ দেয়ার দাবি করলে পুত্র সেলিম সরদার তা দিতে অস্বীকার জ্ঞাপন করেন।
বাদী জহুরা বেগম জানান, তার নিজস্ব মালিকানাধীন ৯ শতাংশ জমি ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ সালে পুত্র সেলিম এর নামে ভোরণ-পোষণ দেয়ার সত্বে দান স্বত্ব হেবা দলিল রেজিস্ট্র করে দেয়। সে এখন আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ, এ আইনে ফরিদপুরে এবারই প্রথম কোনো পিতা-মাতা সন্তানের বিরুদ্ধে ভোরণ-পোষণ আইনে দাবি করে মোকদ্দমা দায়ের করেছেন।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ২০ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার
এজি