Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ৩৭ কোটি টাকায় ৭টি কলেজ ও ২৪টি স্কুল ভবন হচ্ছে
new-bavon

চাঁদপুরে ৩৭ কোটি টাকায় ৭টি কলেজ ও ২৪টি স্কুল ভবন হচ্ছে

চাঁদপুর জেলার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সব উপজেলায় ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় ৭টি চারতলা কলেজ ভবন ও ২৪ টি মাধ্যমিক স্কুল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, চাঁদপুর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রাপ্ত পরিসংখ্যান মতে-৭টি কলেজ ভবন নির্মাণে ১৭ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং ২৪টি মাধ্যমিক স্কুল ভবন নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্বপন কুমার সাহা ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর কার্যালয়ে এ তথ্যটি জানান।

প্রাপ্ত তথ্য মতে,প্রতিটি চারতলা কলেজ ভবনের নির্মাণ ব্যয় ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং প্রতিটি মাধ্যমিক স্কুল ভবন ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক ডিজাইনে ও যুগোপযোগী দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন নির্মিত হবে। প্রতিটি কলেজ ৪ তলা ও প্রতিটি স্কুল ভবন প্রথমতলা বা ঊর্ধ্বমুখী ভবন নির্মিত হবে।

নতুন কলেজ ভবনগুলো হলো : চাঁদপুর সদরের কামরাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কচুয়ার নুরুল আজাদ কলেজ,ফরিদগঞ্জ কালির বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,শাহরাস্তির চিতোষী ডিগ্রী কলেজ,হাজীগঞ্জের দেশগাঁও কলেজ,মতলবের মুন্সী আজিমুদ্দিন কলেজ ও হাইমচরের মোয়াজ্জেম হোসেন কলেজ ভবন।

নতুন মাধ্যমিক স্কুল ভবনগুলো হলো : মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ বা ঊর্ধ্বমুখী ভবনের সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীন চাঁদপুর সদরে ১২টি,হাইমচরে ১টি, ফরিদগঞ্জে ৪টি,কচুয়ায় ২টি,মতলব দক্ষিণ ২টি , মতলব উত্তর ১টি এবং হাজীগঞ্জে ২টি ভবন নির্মিত হবে। এসব ভবনের জমি,মাটি যাচাই-বাচাই ও কোনটির টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কলেজ ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ সম্পন্ন করা হয়েছে। কলেজ ভবন ১৮ মাস ও স্কুল ভবন ১২ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর,চাঁদপুর এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্বপন কুমার সাহা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌতিক অবকাঠামো উন্নয়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ এসব অবকাঠামো নির্মাণে ও দৃষ্টিনন্দন করতে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব ভবন নির্মাণ হলে এলাকার পরিবেশ,শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হবে ।’

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করে ভবনের নকশা প্রণয়ন করা, ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা টয়লেট, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য র‌্যাম্প এবং আলাদা টয়লেট, টানা বারান্দা, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা, ঢালু ছাদ এবং ছাদে লাল টালি স্থাপনের ব্যবস্থা রাখা হবে এসব ভবনে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সমুহের মেরামত, সংস্কার ও শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র নির্মাণ করছে সরকারের শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে,সারাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ অবকাঠামো নির্মাণ কাজে প্রাধান্য পেয়েছে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত দশ বছরে সারাদেশের ২ হাজার ৪ শ মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

নির্বাচিত আরও এক হাজার ৮শ টি মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত দশ বছরে ২০০৯ থেকে ২০১৮ শিক্ষাখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে ১১ হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আর ১২ হাজার ৬৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করা হবে। আর ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে পুরনো জরাজীর্ণ ভবনগুলোও। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) মাধ্যমে গত ১০ বছরে সারাদেশে ২৩ হাজার ৯৭৯টি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ আরও ৭ হাজার ৬৪১টি ভবন সংস্কার করা হয়েছে। এসব ভবনগুলো নির্মাণে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে বলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রত্যাশা।

আবদুল গনি , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১