প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু এখনই সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। তবে রাজধানীতে এখনো সেই আঁচ পাওয়া যায়নি। যদিও অন্যসময়ের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে তাপমাত্রা। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ইতোমধ্যে প্রচণ্ড শীত পড়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলা হাড় কাঁপুনি ঠাণ্ডা।
অন্যদিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তারা জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১ থেকে দুইটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এদিন সেখানে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো।
ঢাকায় ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ১৪ দশমিক ৯, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৭, সিলেটে ১৬ দশমিক ৭, খুলনায় ১৬ দশমিক ২ এবং বরিশালে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ তৈরি হয়েছে এবং এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর প্রভাবে সারাদেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে এবং শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা থাকবে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘উত্তরের বাতাস তীব্র না হওয়াতে রাতের বেলা শীত অনুভূত হলেও এখনো দিনের বেলা সূর্যের তাপের কারণে কম অনুভূত হচ্ছে। তবে ডিসেম্বর মাসে শীতের তীব্রতা বাড়বে এবং এক বা একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে।’
বার্তাকক্ষ,৩০ নভেম্বর,২০২০;
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur