সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধিনে প্রতিবছর কর্মসৃজন বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ।
২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এবারেই প্রথম ২০১৭ সালে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ পায় ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ দিনের কর্মসৃচির কাজ সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পে ৫টি ওয়ার্ডে ২১২ জন হতদরিদ্র শ্রমিক অতিরিক্তি প্ররিশ্রমের ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে ৪০ দিনের মাটিকাটার কাজ শুরু হয়েছে। এবারেই শ্রমিকদের ডিজিটাল পক্রিয়ায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে প্রথম বিল পাওয়ার পর বাকি দ’টি বিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউপি সচিব নিমূল কৃষ্ণ পাল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এ বছর আমরা ৫টি ওয়ার্ডে ৪০ দিনের প্রকল্পের কাজ ভাগ করেছি। ৪নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে থেকে চৌধুরী বাড়ীর গেইট পর্যন্ত ৪৩ জন শ্রমিক কাজ করে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। যা তদারকির কাজের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাশার আটিয়া। ৬নং ওয়ার্ডের কুড়–লী ব্রিজ থেকে ঝাকুনি রাস্তা পর্যন্ত পূর্ন নির্মানে কাজ করে ৪৫ জন শ্রমিক। যার ব্যয় দরা হয়েছে ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান উক্ত প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। ৮নং ওয়ার্ডের নাটেহারা কলেজ রোড হতে সেকান্ত মিয়ার বাড়ী হয়ে শাহাজাহান মাঝির বাড়ী পর্যন্ত ৪০ জন শ্রমিকের ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কাজ সম্পন্ন হয়। এ কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য মুসলিম গাজী। ৭নং ওয়ার্ডের প্রতাপপুর নজু মাওলানার বাড়ী হইতে মজুমদার বাড়ীর ব্রিজ পর্যন্ত ৪৯ জন শ্রমিক কাজ করে যার ব্যয় দরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। এবং ১নং ওয়ার্ড সমেশপুর নোয়া বাড়ী হইতে হাজী বাড়ী পর্যন্ত ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করে যার প্রকল্পের ব্যয় দরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য দুলাল মিজি।
এদিকে স্ব স্ব এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় জানাযায়, বর্ষার পূর্বে রাস্তায় মাটি পালায় আর তেমন কোন সমস্য হবে না। আমরা চাই সরকার আমাদের এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করবে।
এ বিষয়ে বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আমরা এবারেই প্রথম বড় ধরনের কর্মসৃচির কাজ পেয়েছি। তাই জনগনের চলাচলের দূর্ভোগের কথা মাথায় রেখে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। আর এ ধরনের কাজে সহযোগিতা করার জন্য আমাদের এমপি মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারকে আমার ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আমি কাজের নমুনা দেখে খুশি হয়েছি। বাকী এলাকার কাজ আগামি প্রকল্পে দেওয়া হবে।’
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪: ৪৫ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ