চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৪:৪৯অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার
সহপাঠীকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষী হওয়ায় পপি আকতার নামে এক ছাত্রীকে নির্মম নির্যাতন করেছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদরের পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার তিলিকের বাড়ি সংলগ্ন একটি বাগান এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতা পপি আকতার সদরের সোনাপুর এলাকার তিলিকের বাড়ির মো. হারুনের মেয়ে ও হাসনাবাদ মহিলা দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় জনতা তসলিম নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ আগস্ট জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোনাপুর এলাকার কামরুন নাহার সুমি নামে এক ছাত্রীকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে পথ আটকায় সন্ত্রাসীরা। তারা সুমিকে একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে হাত-পায়ে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের ওই ঘটনায় পরে মামলা দায়ের করে ছাত্রীর পরিবারের লোকজন। ওই মামলার সাক্ষী হয় সুমির সহপাঠী পপি আকতার। মঙ্গলবার দুপুরে সুমিকে দেখতে যাওয়ার সময় পপির পথরোধ করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। তাকে জোর করে পাশের একটি সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। এরপর মুখে ওড়না পেঁচিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার হাতে পায়ে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী পপিকে উদ্ধার করে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পপির মা খুকি বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, সহপাঠী সুমিকে নির্যাতনের মামলায় সাক্ষী হওয়ার কারণেই আমার মেয়েকে কিরন, ভুলু, তসলিম আর কাজলসহ বাসার বাহিনীরা সন্ত্রাসীরা নির্যাতন করেছে। ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছে। এরা মানুষ নয়, ওরা পশু। ওদের বিচার চাই।
পপির চাচাতো ভাই মাসুদ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ আর নির্যাতন মামলার সাক্ষী হওয়ার কারণে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পপিকে সুপারি বাগানে নিয়ে গিয়ে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাচন চালিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার এসআই আবদুর রব জানান, ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই সোনাপুর এলাকার নুরুল আলম কামালের সাথে একই এলাকার শাহ আলমদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে গত ২৭ অক্টোবর কামালের মেয়ে কামরুন নাহার সুমিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে স্থানীয় ভূঁইয়া বাড়ি সংলগ্ন একটি বাগানে নিয়ে গাছের সাথে হাত-পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে শাহ আলম বাবুলের ছেলে কিরন ও ভুলুসহ স্থানীয় বাসার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এ মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল নির্যাতিত ছাত্রীর সহপাঠি পপি আকতার।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫