বিনোদন

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী স্বীকৃতি : সাহায্যের আবেদন

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৭:৪৪ অপরাহ্ণ, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার

ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমান স্বীকৃতির সময় কাটছে উত্তরার ল্যাবওয়ান হাসপাতালে। এখানে প্রতিদিন তাকে প্লাটিনেট ও রক্ত দেওয়া হচ্ছে। খেতে পারছেন না তেমন কিছু।

তার সুস্থতা নির্ভর করছে গানপ্রিয় মানুষের ভালবাসার ওপর। স্বীকৃতির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থের। পরিবারের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই তারা সাহায্যের আবেদন করেছেন দেশবাসীর কাছে।

৩০ আগস্ট ‘ব্লাড ক্যানসারে ভুগছেন স্বীকৃতি’ শিরোনামে চাঁদপুর টাইমসে খবর প্রকাশের পর অনেকেই স্বীকৃতিকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ছুটে গিয়েছেন হাসপাতালে। ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য অনেকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বুধবার দুপুরে স্বীকৃতি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমি সুস্থ হয়ে আবার গানের জগতে ফিরে আসব। অনেকে আমাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে, আমি হয়ত কিছু অর্থ পেয়েছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমি এখনো কোনো সহযোগিতা পাইনি। তবে আমি বিশ্বাস করি গানপ্রিয় মানুষেরা আমাকে সাহায্য করবেন।’

তিনি আরও জানান, সঙ্গীতাঙ্গনের অনেকে তাকে দেখতে গিয়েছেন হাসপাতালে। তাদের মধ্যে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, এন্ড্রু কিশোর, শওকত আলী ইমন, কবীর বকুল, আসিফ আকবর অন্যতম।

সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীর পরিবার জানায়, স্বীকৃতিকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানকার তিনটি হাসপাতালে আবেদনও করা হয়েছে। ভিসা হয়ে গেলে যে কোনো মুহূর্তে স্বীকৃতিকে নিয়ে যাওয়া হবে ভারতে।

এদিকে স্বীকৃতিকে সাহায্য পাঠানোর জন্য একটি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আগ্রহীরা এই নম্বরে অর্থ জমা করতে পারবেন—
শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি
এস/বি. এ/সি নম্বর
১১৭.১০১.২৫১৮৫৩
ডাচ্ বাংলা ব্যাংক
শাখা : উত্তরা।

গানের জগতে স্বীকৃতি বেশ পরিচিত নাম। ১৯৯৯ সালে তার গানে অভিষেক হয়। এরপর সাতটি একক ও পঞ্চাশের বেশি মিশ্র এ্যালবামসহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। গেয়েছেন মঞ্চেও। সম্প্রতি ‘পানে জর্দা চমন’ নামে আইটেম নাম্বারে কণ্ঠ দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন স্বীকৃতি। শওকত আলী ইমনের সুরে গানটি ব্যবহার করা হয়েছে ‘অ্যাকশন জেসমিন’ সিনেমায়।

ব্যক্তিগত জীবনে স্বীকৃতি এক সন্তানের মা। তার ৭ বছর বয়সী মেয়ের নাম প্রত্যাশা। স্বীকৃতির স্বামী কাজী মাসুম সাকলাইন চাকরি করেন একটি ওষুধ কোম্পানিতে। স্বীকৃতিরা ৫ বোন ও দুই ভাই। স্বামীর সঙ্গে তিনি থাকেন উত্তরায়।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share