সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় সুন্দরী খালে নির্মিত ব্রিজে উঠতে হচ্ছে কাঠ-বাঁশের মই দিয়ে। এর ফলে ব্রিজটি কার্যত স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো কাজেই আসছে না। কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের বক্সগঞ্জ ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামের রাস্তার মধ্যবর্তী সুন্দরী খালে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এ ব্রীজ। বছর খানেক আগে ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন করা হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষকে কাঠ-বাঁশের মই দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজে উঠতে হয়। তারপর খালের এপার থেকে ওপার যেতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন,শাহপরান ও মহিন উদ্দিন একাধিক লোকজন জানান, সেতুর নির্মাণ বছর খানেক আগে শেষ হলেও সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করেনি ঠিকাদার। এ কারণে প্রতিনিয়ত লোকজনকে কাঠ-বাঁশের মই দিয়ে ব্রিজের ওপরে উঠে পারাপার হতে হয়। তাছাড়া ব্রীজের নেই কোনো উইং ওয়াল। দ্রুত মাটি ভরাট ও উইং ওয়াল নির্মানে দাবি জানান তারা।
ব্রিজটি ওই এলাকার লোকদের কার্যত কোন কাজে আসছে না বলে দাবি করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, এখানে একটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে, দুই ইউনিয়নের যাতায়াতের পথ এটি। কিন্তু ব্রীজ নির্মান হলেও মাটি ভরাট ও ব্রীজের উইং ওয়াল না থাকায় মইয়ের সাহায্যে ব্রীজ পারাপার হতে হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. রাকিবুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, সুন্দরী খালে পানি থাকায় ব্রীজের দু’পাশে মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। পানি শুকালে উইং ওয়ালসহ তা সংস্কার ও মাটি ভরাট করা হবে। পাশাপাশি ব্রিজটি সচল করতে এবং দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। সংযোগ সড়ক তৈরি হলে সেতুতে মানুষের যাতায়াতে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। শীঘ্রই ব্রীজের মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,২২ ডিসেম্বর ২০২৩