ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জন হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২০ পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
২৭ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে এই বিক্ষোভ করা হয়।সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
নিহতরা হলেন- সুহিলপুর ইউনিয়নের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে ওয়ার্কশপের দোকানি জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে শ্রমিক বাদল মিয়া (২৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের জুরু আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২), বুধল ইউনিয়নের বুধল গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে শ্রমিক মো. কাউসার (২৫) ও সদর উপজেলার সরিদপুর গ্রামের জুবায়ের (১৪)। জুবায়ের কান্দিরপাড়া এলাকায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। তিনি কান্দিরপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র বলে জানা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সরাইল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিল থেকে হঠাৎ করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলী আহমেদের ছেলে কাউসার মিয়া, সাইদ মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন (৩৫), আবদুল সাত্তারের ছেলে বাছির মিয়া (২৮), আবদুল হোসেনের ছেলে ছাদের মিয়াকে (৩৫) হাসপাতালে আনা হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ৫ জন মারা গেছে। ওরা সবাই গুলিবিদ্ধ ছিল। সূত্র-যুগান্তর
বার্তা কক্ষ,২৭ মার্চ ২০২১