চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতিতে পয়লা বৈশাখ এখন উৎসবের মধ্যে দখল করে আছে বিশেষ স্থান। আর এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের একটি ঐতিহ্যের ধারবাহিকতা।
শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে (৩য় তলা) আয়োজন করা হয় বাংলা বর্ষবরণ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ।
প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও জেলার বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিক, শিক্ষক, সুশিল সমাজ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামজিক পেশা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রেসক্লাবের সদস্যদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠানটি মনোরম ও আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম ও চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ওচমান গণি পাটওয়ারী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ্ মো. মাকছুদুল আলম ও বিএম হান্নান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ও তার সহধর্মীনিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সহ-সভাপতি সোহেল রুশদী ও যুগ্ম সম্পাদক ল²ণ চন্দ্র সূত্রধর। পহেলা বৈশাখের নিয়মানুসারে আগত অতিথি ও প্রেসক্লাবের সদস্যদের আপ্যায়ন করা হয় ধই, ছিড়া, খই, মুড়ি, তরমুজ ও মিষ্টান্ন দিয়ে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি সফল আয়োজনের জন্য উদযাপন কমিটিসহ প্রেসক্লাবের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ এবং আগত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের সর্বজনিন একটি প্রাণের উৎসব। বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব এপি। এই উৎসবকে ঘিরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব দিনের শুরুতেই যে আয়োজন করেছে তা অত্যান্ত প্রশংসার দাবি রাখে। এমন একটি বর্ণিল ও চমৎকার আয়োজন করারর জন্য আমি আয়োজকদের অন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানচ্ছি।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন বছরটি যাতে করে আমাদের সকলের ভালো কাটে। নতুন বছর যেনো জীবনে আরো বেশী সুখ-সমৃদ্ধি বয়ে আনে। দেশকে আরো এগিয়ে নিতে এবং সমৃদ্ধ করতে আমাদের সকলকে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম বলেন, এমন একটি আয়োজনে আবারও আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। এর আগেও আমি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এই আয়োজনে এসেছি। এখানে দিনের শুরুতেই চমৎকার আয়োজন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজকে অব্যহত রাখার জন্য আমি প্রেসক্লাব কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানচ্ছি।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রূপালী চম্পক ও তার সহযোগী শিল্পীবৃন্দ। তারা একে একে কয়েকটি গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেন।
এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক শফিউদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোহর আলী, বিএমএর সাবেক সভাপতি ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগর, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইউনুছ ফারুকী, জেলা তথ্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ। প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি জালাল চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া জীবন, শহীদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান, আহসানুজ্জামান মন্টু, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, রহিম বাদশা, জিএম শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন লিটন, মোরশেদ আলম রোকন ও আলম পলাশ, লাইব্রেরী সম্পাদক হাসান মাহমুদ, আপ্যায়ন ও বিনোদন সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, কার্যকরি কমিটির সদস্য এড. মো. শাহজাহান মিয়া ও ফারুক আহম্মদ।
সাধরণ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুনাওয়ার কানন, নেয়ামত হোসেন, কে এম সালাউদ্দিন, শাহ্ আলম মল্লিক, মো. মাসুদ আলম, আব্দুস সালাম আজাদ জুয়েল।
আজীবন সদস্য আনোয়ার হাবিব কাজল, মো. মোজাম্মেল হক, এম.আই মমিন খান, জসিম উদ্দিন শেখ প্রমূখ। এছাড়াও প্রেসক্লাব নেতাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট