আন্তর্জাতিক

ব্যাংক হ্যাকিংয়ে রিজার্ভ চুরি : বিদেশী ব্যাংক কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো। এ নিয়ে দেশটির তদন্ত কমিটিকে আরো বিস্তারিত তথ্য দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার এই স্বীকারোক্তি স্থানীয় গণমাধ্যমেও প্রচার করা হয়েছে। এদিকে, অর্থ পাচারের সময় ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ, দু দেশেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সিসি ক্যামেরাগুলো অকার্যকর ছিল বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

রিজার্ভ চুরির ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে, শুরুর দিকে পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আটকা পড়েন গোয়েন্দা জালে। ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে স্বীকারও করলেন অনেক কিছুই। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সাথে কিভাবে জড়িয়ে পড়েন, তা খোলাখুলিই বললেন ক্যামেরার সামনে।

স্বীকার করেন নিজের গাফেলতির কথা; বলেন, ব্যাংকের সিইও লরেনজো ত্যান সবকিছুই জানতেন। তার বন্ধু কিম উংয়ের নির্দেশে অ্যাকাউন্ট খুলেন তিনি।

অবশ্য ব্যবসায়ী উইলিয়াম গোয়ের সাক্ষর জাল করার কথা অস্বীকার করেছেন মায়া। বলেছেন, গোই এই পাচারে জড়িত।
মায়ার এসব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তারই ব্যাংকের সিইও লরেনজো ত্যান।

এদিকে, নতুন তথ্য দিয়েছে ফিলিপিন্সের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল। জানানো হয়েছে, গেল ৯ই ফেব্র“য়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জাভের অর্থ চুরির দিন ফিলিপাইনের ওই ব্যাংকের সিসি ক্যামেরাগুলো বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকেও একই চিত্র ছিলো, গণমাধ্যমে এসেছে, অর্থ পাচারের সময় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ডিলিং রুমের সিসি ক্যামেরা বিকল ছিল।

কম্পিউটার ও সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে লেনদেনের সব তথ্য। সম্প্রতি ফিলিপাইনের সংবাদ মাধ্যম ‘ইনকুয়ের‌্যার ডট নেটে’র প্রতিবেদন বের হয়ে আসে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে কিভাবে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ডলার। (সূত্র- একুশে টিভি)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১১:১০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share