৩২ বছর আগে তরুণ মিশার কাজ ছিল মূল ভিলেনের আদেশে ভয়ঙ্কর হাসি দিয়ে নায়িকাকে তুলে আনা। সেই মিশা এখন প্রধান খল চরিত্রে ঢাকাই ছবিতে একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন।
পর্দার সাধারণত খারাপ লোক চরিত্রে অভিনয় করা মিশা সওদাগর চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন ১৯৮৬ সালে। এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হন মিশা। ছট্কু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’’ ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ১৯৯০ সালে। ‘অমরসঙ্গী’’ ছবিতেও তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন, কিন্তু দুটোর একটিতেও সাফল্য পান নি।
পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিচালক তাকে খল চরিত্রে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ ছবিতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। আউটডোর শ্যুটিং শেষ করে ফিরে একে একে সাতটি ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। মিশা ১৯৯৪ সালে ‘যাচ্ছে ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম খলনায়ক হিসেবে পর্দায় উপস্থিত হন।
ইতোমধ্যে মিশা সওদাগর ৯০০’র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্রে ভিলেন হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন মিশা সওদাগর। ৪ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেতা জন্ম নেন। কাজ তাঁর জন্মবার্ষিকী।
বার্তাকক্ষ
৪ জানুয়ারি ২০১৯