কচুয়া উপজেলার ১৩৮নং আয়মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন ছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবহেলিত ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বদলে দিতে চমক সৃষ্টি করেছেন বিদ্যালয়ের নব নির্বাচিত সভাপতি তরুণ সমাজসেবক মো: মুক্তার মজুমদার।
সম্প্রতি তাঁর ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহনের ফলে ওই বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের বিভিন্ন স্থানে সাটানো হয়েছে নানান রঙ্গের বিভিন্ন ফেস্টুন। যা এলাকায় মানুষের নজর কেড়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সামনে ও ওই বিদ্যালয়ের যাতায়াতের বিভিন্ন সড়কে প্রবেশ পথের ফেস্টুন স্থাপন করায় এলাকা ঝলঝল করছে।
বিদ্যালয়ের নব নির্বাচিত সভাপতি ও চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মুক্তার মজুমদার জানান, বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। আমার প্রিয় নেতা ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় এবং এলাকার অভিভাবক ও দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছি। সভাপতি হওয়ার পর বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মানের সহায়তা প্রদান ও জেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতা শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে যা যা দরকার পর্যায়ক্রমে তা করা হবে।
স্থানীয় অধিবাসী যুবলীগ নেতা সবুজ ফরাজী জানান, বিদ্যালয়টি গ্রামের ভিতরে শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় এবং উপজেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। মুক্তার মজুমদার এ বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়ে হাল ধরায় এখন আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরর আনন্দ দিতে বতিক্রমী ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে সাটানো হয়েছে। আমরা তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম জানান, সভাপতি মহোদয় শিক্ষার উন্নয়নে খুবই আন্তরিক ও সাদা মনের মানুষ। তিনি আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর বিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তাঁর এই প্রচেষ্টার কারনে এক দিকে যেমন বিদ্যালয়ের উন্নতি হচ্ছে অন্যদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আনন্দের মাধ্যমে পাঠদানে ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,৯ মার্চ ২০২১