জনসমাগমের স্থলে পুরো মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করতে গণভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড। আগামী ৭ মার্চ মুখ ঢাকা নিষিদ্ধে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নিষেধাজ্ঞা আইনের ফলে মুসলিম নারীরা পোশাক পরিধানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হারাতে পারে।
সুইজারল্যান্ডে বসবাসরত হিজাব ও নিকাব বা বোরকা পরা সংখ্যালঘু মুসলিম নারীদের উদ্দেশ্য করে এমন আইন করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘জনসম্মুখে কেউ মুখ ঢাকতে পারবে না। সবার জন্য উম্মুক্ত স্থান কিংবা গণসেবা দেওয়া হয় এমন কোনো স্থানে মুখ ঢাকা যাবে না।’
নিরাপত্তার তাগিদে মুখ ঢাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও বেশ কিছু স্থান এর অন্তর্ভূক্ত থাকবে না। উপাসনার স্থান ও চিকিৎসকাজনিত কারণে কেউ চাইলে মুখ ঢাকতে পারবে।
এর আগে ১২ বছর আগে মুসলিমদের ওপর আরেকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুইজারল্যান্ড সরকার। ২০০৯ সালে মিনার নির্মাণ নিষেধাজ্ঞায় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিশ্বের অনেক দেশে মুখ ঢেকে বোরকা পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আছে। নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও ডেনমার্কে এ নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। বোরকা নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত পাওয়া গেলে সুইজারল্যান্ডও এ তালিকাভূক্ত হবে।
অবশ্য আগ থেকেই সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেন ও টিকিনো দুটি অঞ্চলে এ নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। ২০১৯ সাল থেকে মুখ ঢাকলে নারীদেরকে নির্দিষ্ট জরিমানা প্রদান করতে হয়। টিকিনো অঞ্চলে ২০১৬ সাল থেকে মুখ ঢাকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক, ০৩ মার্চ,২০২১;